কলকাতার সেই ‘বুর্জ খলিফা’। ফাইল ছবি।
করোনা আবহেও বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে সকলেই ভিআইপি রোড-মুখী। সবার ইচ্ছা এক বার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো দেখবেন। সেখানে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে ‘বুর্জ খলিফা’-র আদলে। দুবাইয়ের সর্বোচ্চ বাড়ির শিরোপা পাওয়া ভবন তৈরি হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে এই সর্বজনীনে। কিন্তু একটা আকর্ষণ থেকে বঞ্চিত হতে হবে দর্শনার্থীদের। ওই মণ্ডপে লাগানো লেজার আলোয় বিমান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে আপত্তি ওঠাতেই তা নিভিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব।
প্রসঙ্গত, এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা রাজ্যের দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী সুজিত বসু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনে সাড়া দেননি। তবে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও একটি জায়গায় লেজার আলো থাকায় বিমান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে সোমবার রাতে তিন জন ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার পাইলট অভিযোগ জানান। জানা গিয়েছে, পুলিশের পাশাপাশি অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকেও আপত্তি জানানো হয়। তার পরেই আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়েরা।
এ বার কলকাতার পুজোয় অন্যতম বড় আকর্ষণ শ্রীভূমি। তবে এ বারেই শুধু নয় অতীতেও দর্শনার্থীরা নতুন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হন এখানে। ‘বাহুবলী’, ‘পদ্মবত’ ছবির সেট দেখা গিয়েছে এখানে। কখনও কেদারনাথ দর্শন হয়েছে। এ বার শিরোনামে বুর্জ খালিফা। ১৪০ ফুট উঁচু বুর্জ খালিফা দেখতে দেবীপক্ষ শুরু হতে না হতেই ভিড় জমতে শুরু করে। শুধু মণ্ডপ দেখাই নয়, তার সঙ্গে লেজার আলোর খেলা। সেই খেলাটাই আর দেখা যাবে না।
ওই লেজার আলোর জন্য সমস্যা তৈরি হয় বিমান চলাচলে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, তিনটি আলাদা আলাদা বিমানের পাইলটরা কলকাতার ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল’ (এটিসি)-তে অভিযোগ জানান। এর পরে এটিসি বিমানবন্দরকে বিষয়টি জানায়।
নিয়ম অনুযায়ী বিমানবন্দর এলাকার কাছাকাছি জায়গাতে লেজার আলোর ব্যবহার, ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ। এর ফলে বিমান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। শ্রীভূমির মণ্ডপ বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়াতেই তৈরি হয় সমস্যা। তবে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের দাবি, লেজার আলো নিভিয়ে দেওয়া হলেও এই মণ্ডপ দেখার আনন্দ থেকে একটুও বঞ্চিত হবেন না দর্শনার্থীরা।