পয়লা সেপ্টেম্বর কোনও স্কুলে পরীক্ষা থাকলে তা নেওয়া যাবে কি না, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও পৌঁছয়নি স্কুলগুলিতে। ফাইল ছবি
কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো যে আবহমান ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তা উদ্যাপন করতে আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা শোভাযাত্রায় অংশ নেবে স্কুলপড়ুয়ারাও। এর জন্য ওই দিন স্কুলগুলি বেলা ১২টার পরে ছুটি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষেরা জানাচ্ছেন, এ নিয়ে তাঁরা এখনও পর্যন্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে কোনও নির্দেশিকা পাননি। পাশাপাশি, পয়লা সেপ্টেম্বর কোনও স্কুলে পরীক্ষা থাকলে তা নেওয়া যাবে কি না, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও পৌঁছয়নি স্কুলগুলিতে।
স্কুলগুলি জানাচ্ছে, মিছিলে যেতে বলা হয়েছে একাদশ ও দ্বাদশের পড়ুয়াদের। তাদের পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন না থাকলেও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে প্রাথমিক থেকে দশম পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন নিয়েই। শিক্ষকদের প্রশ্ন, ১২টার মধ্যে ছুটি দিতে হলে স্কুল চালু হওয়ার পরে কী ভাবে ওই অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলি শ্রেণির পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন নেওয়া সম্ভব?
শুধু পয়লা সেপ্টেম্বরই নয়, তারও আগে ২৯ অগস্ট ধর্মতলায় রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান। কিছু স্কুলের কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, এই উপলক্ষে সে দিন শহরের পথে বাসের সংখ্যা কমতে পারে। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা কী ভাবে পরীক্ষা দিতে আসবে, তা নিয়ে সংশয়ী প্রধান শিক্ষকদের একাংশ। কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দিয়েছেন। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কী করা হবে, সেটা নিয়ে দোলাচলে রয়েছেন তাঁরা।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত উপরমহল থেকে কোনও নির্দেশিকা তাদের কাছে আসেনি। সেই সঙ্গে পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৯ অগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর— এই ১০ দিন দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। তার চেয়ে কম সময়েই সমস্ত শ্রেণির ওই পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার কথা।স্কুলগুলি নিজেদের মতো করে ওই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা-সূচি ফেলতে পারে। তবে পয়লা সেপ্টেম্বর বেসরকারি স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন স্বাভাবিক থাকার কথা। তারাওই দিন কী করবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি অধিকাংশ স্কুল।
এ দিকে, পয়লা সেপ্টেম্বর ১২টার মধ্যে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে শিক্ষক সংগঠনগুলিও। ‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের রুটিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। ১২টার মধ্যে পরীক্ষা শেষ হওয়া কখনওই সম্ভব নয়। সে দিন অনেকে স্কুলে আসতেও পারবে না। তাই ফের রুটিন পাল্টাতে হবে।’’