Calcutta High Court

ধর্ষণ মামলায় চাপে কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতা, একক বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ

এর আগে এক তদন্তকারী পুলিশকর্তাকে আদালত বলে, ‘‘আপনি সঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না... । যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে (শুভদীপকে) গ্রেফতার করুন।’’ এ ছাড়া, অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩৬
TMC student leader Subhadip Giri is in trouble after Calcutta High Court’s direction

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেটাই বহাল থাকছে। —ফাইল চিত্র।

নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে অস্বস্তিতে থাকলেন তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। সোমবার হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের রায়, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেখানে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। প্রয়োজনে ওই বেঞ্চে গিয়েও রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে পারেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতা।

চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাঁথি থানায় তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। কিন্তু পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট ওই পরিবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পর গত ১৯ জানুয়ারি মামলা দায়ের হয়। আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পরও শুভদীপকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় পুলিশের তদন্ত নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ বিচারপতি মান্থা। এর আগে এক তদন্তকারী পুলিশ কর্তাকে তিনি বলেন, ‘‘আপনি সঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না... । যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে (শুভদীপকে) গ্রেফতার করুন।’’ এ ছাড়া, অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে অভিযুক্তের আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে ফেলার সিঙ্গল বেঞ্চেই।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের অক্টোবরে। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, শুভদীপ তাঁদের মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেন। মোবাইলে একান্ত মুহূর্তের বেশ কিছু ছবিও তুলে রাখেন। কিন্তু পরে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হননি। মেয়েটি তাঁকে ওই সব একান্ত মুহূর্তের ছবি মোবাইল থেকে মুছে দিতে বলে।

অভিযোগ, এর পর গত বছরের ১৪ অক্টোবর সেই ছবি মোছার অজুহাতে প্রাক্তন বান্ধবীকে দিঘার একটি হোটেলে ডাকেন তৃণমূল ছাত্রনেতা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের কন্যাকে ধর্ষণ করেন শুভদীপ। এই ঘটনার পর ১ নভেম্বর তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ করেনি কাঁথি থানার পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন