Kolkata Doctors Rape-Murder Case

আরজি করে ফের সিবিআই, সিজিওতে জেরা চলছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের, নতুন কিছু মিলল কি?

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। দিল্লি থেকে বিশেষ দল কলকাতায় এসেছে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে। কয়েক দিনে বেশ কয়েক জনকে সিজিওতে তলব করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৪১
CBI team reached R G Kar Mediacal college and hospital for investigation

আরজি করে সিবিআই। — ফাইল চিত্র।

রবিবার আবারও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গেল সিবিআইয়ের একটি দল। গত কয়েক দিন ধরে আরজি কর-কাণ্ডে বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনাস্থলও ঘুরে দেখে তারা। সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনা। অন্য দিকে, রবিবার সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই জেরা করছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে।

Advertisement

গত ৯ অগস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুমে রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। দিল্লি থেকে বিশেষ দল কলকাতায় এসেছে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে।

কয়েক দিনে বেশ কয়েক জনকে সিজিওতে তলব করা হয়। প্রাক্তন ও বর্তমান হাসপাতাল কর্তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। গত ৯ অগস্ট ভোরে কী ঘটেছিল, তা জানতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে সিবিআই। শনিবারও সিবিআইয়ের একটি দল আরজি করে যায়। ঘটনাস্থলে ৩ডি লেজ়ার ম্যাপিং করা হয়েছিল বলে খবর। রবিবারও সিবিআই দলের সঙ্গে ৩ডি লেজ়ার মেশিন রয়েছে।

অপর দিকে, আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করতে দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের বিশেষ দল এসেছে কলকাতায়। শনিবার রাতেই ওই দল কলকাতায় পৌঁছেছে। ধৃতের আচরণ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করবেন বিশেষজ্ঞেরা। তিনি যে বয়ান দিচ্ছেন, তা সঠিক কি না, কোনও তথ্য তিনি গোপন করছেন কি না, তাঁর আচরণে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কি না, পর্যবেক্ষণ করা হবে।

আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে গত তিন দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। রবিবার সকালে তিনি সিজিওতে যান। আরজি করের চিকিৎসক খুনের ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই আরজি করে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, তিনি অত্যন্ত ‘প্রভাবশালী’। তদন্তেও প্রভাব খাটাতে পারেন। এর পর অধ্যক্ষের পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। আদালতের নির্দেশে আপাতত তিনি ছুটিতে রয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement