Bidyut Chakraborty

‘তদন্তে সহযোগিতা করুন’, বিদ্যুৎকে নির্দেশ হাই কোর্টের, মামলা প্রতি এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে মেয়াদ ফুরনোর পরেও বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে বিতর্ক চলছে। তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মোট পাঁচটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় শান্তিনিকেতন থানা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৮
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।

বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। তদন্তে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয় বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁর নির্দেশ, প্রতি মামলায় তাঁকে ১ ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। ভিডিয়ো কনফারেন্সেও জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ বহাল থাকবে।

Advertisement

বস্তুত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থাকাকালীন কম বিতর্কে জড়াননি বিদ্যুৎ। মেয়াদ ফুরনোর পরেও সেই বিতর্কের রেশ অটুট। উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মোট পাঁচটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস দেয় শান্তিনিকেতন থানা। পুলিশের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান বিদ্যুৎ। এর আগে আদালত পুলিশকে বলে, ২০ এবং ২২ নভেম্বর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎকে জেরা করা যাবে। আদালতের নির্দেশ মেনে পুলিশ গত ২০ নভেম্বর প্রথম বার উপাচার্যের সরকারি বাসভবন পূর্বিতায় গিয়ে তাঁকে জেরা করে। অন্য দিকে, পুলিশের দায়ের করা ওই মামলাগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিদ্যুৎ। দু’দিন আগে মামলাটি উঠেছিল হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। তাতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন তোলেন, পাঁচটি ভিন্ন অভিযোগে এফআইআর করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কেন একটি মামলায় আলাদা করে আবেদন করেছেন বিদ্যুৎ? আদালতে বিচারপতি এই প্রশ্ন তোলার পরই সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য। বৃহস্পতিবার তাঁকে নতুন করে মামলা করে আবেদন জানানোর নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। আদালতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, “আমি প্রশাসনিক ভাবে সব কিছু সঠিক করার চেষ্টা করছিলাম। তাই শেষ পাঁচ বছর ধরে আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement