Unnatural Death

‘বিষক্রিয়া’য় মৃত্যু নাবালিকার, খুনের ধারা যুক্ত করে নাবালককে আটক

অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরীকে গত শনিবার তার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। ওই রাতেই তাকে ভর্তি করা হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৪ ০৭:০২

—প্রতীকী চিত্র।

মানিকতলা থানা এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকার রহস্য-মৃত্যুর ঘটনায় খুনের ধারা যুক্ত করল পুলিশ। এই ঘটনায় যে নাবালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার, আটক করা হয়েছে তাকে। সোমবারই নাবালিকার দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, তার প্রাথমিক রিপোর্টে বিষক্রিয়ার ফলে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে সেই বিষক্রিয়া ঘটল, আপাতত সেটা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরীকে গত শনিবার তার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। ওই রাতেই তাকে ভর্তি করা হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরদিন, রবিবার বেলায় মারা যায় ওই কিশোরী। এই ঘটনায় মেয়েটির ওই নাবালক বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পরিজনেরা।

নাবালিকার পরিবারের দাবি, তার সঙ্গে প্রতিবেশী ওই নাবালকের সম্পর্ক ছিল। সে ব্যাপারে অবগত ছিল দুই পরিবারই। মেয়েটির পরিজনেরা জানিয়েছেন, শনিবার ওই কিশোরের বাড়িতে গিয়েছিল সে। ওই দিন দুপুরে নাবালিকার মা মেয়েকে ফোন করলেও সে ধরেনি। পরিবারের দাবি, ওই কিশোর ফোন ধরে জানায়, তার বান্ধবী ঘুমোচ্ছে। নাবালিকার এক আত্মীয় জানান, বিকেলে ওই কিশোরই আবার ফোন করে মেয়েটির মাকে জানায়, তার বান্ধবী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ওই আত্মীয়ের কথায়, ‘‘ফোন পেয়ে আমরা ছেলেটির বাড়িতে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি, মেয়ে ছটফট করছে। কিছু বলতে চাইলেই বার বার ছেলেটি তার মুখ চেপে ধরছে। কিছু ক্ষণ পরে মেয়েটির মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোতে দেখে আমরা ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’ রবিবার কিশোরীর মৃত্যুর পরেই মানিকতলা থানায় ওই নাবালকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাবা ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেন। মা গৃহবধূ। বছরখানেক আগে ওই কিশোরের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারে মতানৈক্য হলেও পরে পরিজনেরা দু’জনের সম্পর্ক মেনে নেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। নাবালিকার পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘ছেলেটির মা ইদানীং আমাদের মেয়েকে পছন্দ করছিলেন না। ছেলেটিও নানা ভাবে কথা শোনাচ্ছিল। আমাদের ধারণা, পরিকল্পনামাফিক খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে আমাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে।’’

এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আমরা খুনের ধারা যোগ করেছি। ওই নাবালককে আটক করা হয়েছে। কথা বলা হচ্ছে সকলের সঙ্গে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement