Firhad Hakim

মমতার বকুনির পরেই প্রিন্সেপ ঘাট থেকে হেঁটে জাজেস ঘাটে ববি, বন্দর কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল

সোমবার রাতে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে জাজেস ঘাট পর্যন্ত হেঁটে ঘুরে দেখেন ফিরহাদ। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার এবং আধিকারিকেরা। কী ভাবে, কোথায় আরতি করা হবে, তা-ও খতিয়ে দেখেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২ ২২:০৮
প্রিন্সেপ ঘাট পরিদর্শনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

প্রিন্সেপ ঘাট পরিদর্শনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র।

বিকেলে নবান্নের সভায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতেই প্রিন্সেপ ঘাট পরিদর্শনে গেলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিম। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কোথায় গঙ্গারতির ব্যবস্থা করা যায়, তার খোঁজও করলেন। এর পরেই অভিযোগের আঙুল তুললেন বন্দর কর্তৃপক্ষের দিকে। সোমবার রাতে মেয়র জানালেন, বন্দর কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণেই পরিষ্কার রাখা যাচ্ছে না প্রিন্সেপ ঘাট।

সোমবার রাতে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে জাজেস ঘাট পর্যন্ত হেঁটে ঘুরে দেখেন ফিরহাদ। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার এবং আধিকারিকেরা। কী ভাবে, কোথায় আরতি করা হবে, তা-ও খতিয়ে দেখেন। কী ভাবে ঘাট পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, তা নিয়ে কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গে। এর পর অভিযোগ জানিয়ে কলকাতার মেয়র বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাই কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। পরিষ্কার রাখতে অসুবিধা হচ্ছে।’’ পুরসভার আধিকারিকদের ঘাট পরিষ্কার করে সৌন্দর্যায়নের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সোমবার ঘাট পরিদর্শনের পর আরও একটি সমস্যার কথা তুলে ধরেন ফিরহাদ। তিনি জানান, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে হকাররাই বড় বাধা। তাঁর কথায়, ‘‘যত্রতত্র হকার বসে যাওয়ায় সমস্যায় পুরসভা। কাজ করতে পারছে না।’’ তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। হকার নীতিও দেখা হবে। তার পরেই কাজকর্ম হবে।

সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার নবান্নে বৈঠকে বসেন মমতা। সেখানেই পর্যটনস্থলে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। প্রিন্সেপ ঘাটের প্রসঙ্গ তুলে ফিরহাদের উপস্থিতিতে মমতা বলেন, ‘‘প্রিন্সেপ ঘাট। ওখানে আমার পৌষ মেলা হয়। এখনই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। কেন রেগুলার মেনটেন্যান্স থাকবে না? কেন আমাকে বলতে হবে?’’

এর পরেই উত্তরপ্রদেশের মতো এ রাজ্যে গঙ্গারতির ব্যবস্থা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই গঙ্গা আরতির একটা জায়গা হোক। বিভিন্ন জায়গায়, যেমন উত্তরপ্রদেশে গঙ্গারতি হয়, সে রকম। আমাদের সেই সুযোগটা নেই।’’ তবে গঙ্গারতির জায়গা নির্বাচন যে সোজা কাজ নয়, তা-ও বলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমায় এমন জায়গা দেখতে হবে, যেখানে কেউ পড়ে যাবেন না। আরতিটা দেখতে পাবেন। যেখানে একটা মন্দির রয়েছে। বসবার জায়গা রয়েছে। যেখানে লোক মনে করবে, শান্তির পীঠস্থান। এ রকম জায়গা দেখে করতে হবে। সব ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে দু’ বছর সময় লাগলেও কিছু যায় আসে না। আমি কলকাতা পুরসভাকে দায়িত্ব দিচ্ছি।’’ এই নির্দেশ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাজে নেমে পড়েন কলকাতার মেয়র। ঘুরে দেখেন ঘাট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement