—প্রতীকী ছবি।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে। সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও তিনি যে বেশ প্রভাবশালী ছিলেন, তার কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে প্রথমে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল (ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ বা ডিএমজি)-এ যোগ দিয়েছিলেন। তবে সেখানে অল্প কয়েক দিন কাজ করার পরেই তাঁকে পাঠানো হয় পুলিশের ওয়েলফেয়ারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত কর্মীদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি দেখে এই পুলিশ ওয়েলফেয়ার। এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও অভিযুক্ত কী ভাবে পুলিশের ওয়েলফেয়ারে কাজ করলেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। তা ছাড়া ধৃত যুবকের মা জানিয়েছেন, কখনও দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাড়িতে, কখনও ফোর্থ ব্যাটালিয়নের ব্যারাকে থাকতেন অভিযুক্ত। সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও পুলিশের জন্য নির্দিষ্ট ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে কী ভাবে অভিযুক্ত থাকতেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই সূত্রেই মনে করা হচ্ছে, আর পাঁচজন সিভিক ভলান্টিয়ারের তুলনায় অভিযুক্তকে আলাদা ভাবেই দেখা হত।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছেন, ধৃত যুবকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল হাসপাতালে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে রাত ১১টা নাগাদ অভিযুক্তকে প্রথম আরজি করে ঢুকতে দেখা যায়। তিনি ভিতরে গিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে বেরিয়ে যান। হাসপাতালের বাইরে গিয়ে তিনি মদ খান বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। মত্ত অবস্থায় ভোর ৪টে নাগাদ তাঁকে আবার হাসপাতালে ঢুকতে দেখা যায়। পুলিশের অনুমান, তার পরেই ঘটনাটি ঘটে। চার তলার সেমিনার হলে ধর্ষণ এবং খুন করা হয় ডাক্তারির স্নাতকোত্তর বিভাগের পড়ুয়া যুবতীকে।