SSKM Hospital

‘দুর্নীতিতে নাম জড়ানোদের আশ্রয়স্থল এসএসকেএম’! তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা হাই কোর্টে

মামলাকারীর আবেদন, ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘অভিযুক্তদের’ মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হোক। অভিযুক্তদের কেস রেকর্ড যাতে আদালতে জমা পড়ে, তা নিয়ে সিবিআই এবং ইডিকে নির্দেশ দেওয়া হোক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:০৮
এসএসকেএম হাসপাতাল এবং কলকাতা হাই কোর্ট।

এসএসকেএম হাসপাতাল এবং কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

বিভিন্ন দুর্নীতিতে নাম থাকা অভিযুক্তদের আশ্রয় দিচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতাল। এমনই অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা পরিষেবার অপব্যবহার হচ্ছে বলে ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী।

Advertisement

ওই মামলাটি করেছেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। হলফনামায় তাঁর দাবি, ‘‘চিকিৎসার প্রয়োজন নেই অথচ, ওই হাসপাতালে প্রভাবশালীরা বেড (শয্যা) দখল করে রেখেছেন। সেখানে তাঁদের ভণ্ড চিকিৎসা চলছে। অসুস্থ সাধারণ মানুষ বেড পাচ্ছেন না। আশঙ্কাজনক রোগীরাও উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’’ মামলাকারীর আবেদন, ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘অভিযুক্তদের’ সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হোক। তা যাচাই করা হোক কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হাসপাতালকে দিয়ে। ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা অভিযুক্তদের কেস রেকর্ড যাতে আদালতে জমা করা হয়, তা নিয়ে সিবিআই এবং ইডিকে নির্দেশ দিক হাই কোর্ট। মামলাকারী দাবি করেছেন, বৃহত্তর জনস্বার্থে এই মামলা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানান, তিনি এবং তাঁর মতো বেশির ভাগ মানুষ চান, এসএসকেএম হাসপাতালে সকলের জন্য সমান চিকিৎসা হোক। প্রভাবশালীদের অতিরিক্ত গুরুত্ব যেন না দেওয়া হয়। এই একই অভিযোগ করে বিজেপির তরফেও একটি মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে।

সংশ্লিষ্ট মামলাটি আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফ ‘কালীঘাটের কাকু’র অন্তর্বর্তী জামিন মামলায় এসএসকেএম হাসপাতালের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইডি। তারা দাবি করেছে, চিকিৎসার প্রয়োজন না পড়লেও সুজয়কৃষ্ণকে হাসপাতালে রেখে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সুজয়কৃষ্ণের সামান্য মানসিক চাপ ছাড়া আর কোনও সমস্যা নেই। ইডির আইনজীবীর কথায়, ‘‘সেখানে তিনি আরামে রয়েছেন। ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গল্প করছেন। বাইরের ভাল খাবার খাচ্ছেন।’’ ওই মামলাতেও অভিযুক্তের মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্ট।

আরও পড়ুন
Advertisement