এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ফের দুষ্কৃতীদের নিশানা হলেন একা থাকা প্রবীণ নাগরিক। এ বারের ঘটনাস্থল সল্টলেকের পূর্বাচল আবাসন। সেখানে সত্তরোর্ধ্বা এক বৃদ্ধাকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে তাঁর ফ্ল্যাটে লুটপাট চালাল দুই দুষ্কৃতী। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়। খোঁজ চলছে দ্বিতীয় জনের।
পূর্বাচল আবাসনের ১১ নম্বর ক্লাস্টারে একটি ফ্ল্যাটে থাকেন ৭১ বছরের ছায়া সেনগুপ্ত। গত অক্টোবরে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তার পর থেকে একাই থাকেন তিনি। তদন্তে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার স্বামী দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। সেই কারণে তাঁর জন্য ফ্ল্যাটে পুরুষ ও মহিলা আয়াদের যাতায়াত লেগে থাকত। লুটের ঘটনায় ধৃত শুভঙ্কর বৃদ্ধার বাড়িতে আয়ার কাজ করতে এসেছিল। এক সপ্তাহ পরে কাজ ছেড়ে দেয়। তখনই সে জেনে গিয়েছিল, বৃদ্ধার ফ্ল্যাটের কোথায়, কী থাকে।
অভিযোগ, শনিবার সকালে এক সঙ্গীকে নিয়ে বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে আসে শুভঙ্কর। এর পরে তাঁকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে আলমারি থেকে টাকা ও গয়না লুট করে পালায়। রাতেই শুভঙ্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার আকস্মিকতায় রীতিমতো ত্রস্ত ওই বৃদ্ধা। তিনি জানান, ফ্ল্যাটের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। শনিবার সকালে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তিনি না-বুঝেই ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে ইন্টারনেটের সমস্যার কথা বলেন। পুলিশ জানায়, সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই অভিযুক্ত জানিয়ে দেয়, সে ওই কাজেই বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে আসতে চায়।
বৃদ্ধা বলেন, ‘‘দরজা খুলতেই ছেলেটি ও তার সঙ্গী ঘরে ঢুকে আমার গলা টিপে ধরে। হাতে একটা ইনজেকশন দেয়। এর পরেই অজ্ঞান হয়ে যাই। ওরা আলমারি ভেঙে গয়না আর টাকা লুট করে নেয়। ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে চাবি ভিতরে ফেলে চলে যায়।’’ জ্ঞান ফেরার পরে বৃদ্ধা প্রতিবেশীদের সব জানালে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় খবর যায়। রাতেই শুভঙ্করকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বিধাননগরের এসিপি সম্বিথী চক্রবর্তী। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ। অভিযুক্তের থেকে কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।