শনিবার লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। রবিবার তারই জবাব দিল হিজ়বুল্লা। —ফাইল চিত্র।
লেবাননে ইজ়রায়েলের হামলার এক দিন পরেই প্রতিশোধ নিল সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লা। ইজ়রায়েলের রাজধানী তেল আভিভকে লক্ষ্য করে পর পর রকেট বর্ষণ করল তারা। সে সব রকেটের কিছু ইজ়রায়েল নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে আকাশপথেই ঠেকাতে পেরেছে। কিন্তু অনেক রকেট আছড়ে পড়েছে রাজধানীর মাটিতে। একাধিক ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে গিয়েছে বলে খবর। ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার লেবাননের দিক থেকে অন্তত ২৪০টি রকেট ছোড়া হয়েছে তেল আভিভকে লক্ষ্য করে।
এক দিন আগে, শনিবারই লেবাননের রাজধানী বেরুটে হিজ়বুল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। তাতে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে খবর। হিজ়বুল্লার তরফে সে দিনই প্রতিশোধের বার্তা দেওয়া হয়। রবিবারই পাল্টা হামলার পথে হাঁটল তারা। তেল আভিভে হামলার দায় স্বীকার করে নিয়ে হিজ়বুল্লা জানিয়েছে, ইজ়রায়েলের রাজধানী এবং তার আশপাশের সেনাঘাঁটি ছিল তাদের লক্ষ্য।
ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) রবিবারের হামলা প্রসঙ্গে জানিয়েছে, রাজধানী এবং তার আশপাশে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কিছু বাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছে। অনেক সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। তবে কারও আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে ইজ়রায়েল সেনা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, উত্তর ইজ়রায়েলের নাহারিয়া শহরে একটি ভবনের উপর রকেট এসে পড়েছে এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়েছে।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইরান সমর্থিত। গত সেপ্টেম্বর থেকে হিজ়বুল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েল। তবে তাদের দাবি, দক্ষিণ বেরুটে হিজ়বুল্লার ঘাঁটিতেই কেবল তারা হামলা চালিয়েছে। সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি তাতে হয়নি।
ইজ়রায়েল এবং হিজ়বুল্লার এই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিকা। আগামী জানুয়ারি থেকে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব নেবেন। তার আগে এখনও পর্যন্ত তাদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি তেল আভিভ। সোমবার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই সংক্রান্ত বৈঠক করতে পারেন বলে ইজ়রায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে।