Arrest

চট্টগ্রামে পুজোর মঞ্চে ইসলামি গান, আটক ২

জে এম সেন হলের দুর্গাপুজো বেশ প্রাচীন। জামায়াতে ইসলামী ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন অনুষ্ঠানের সংযোজক সজল দত্তের কাছে দু’টি দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের অনুমতি চায়।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:১৪

—প্রতীকী চিত্র।

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে দুর্গাপুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার রাতে একটি সংগঠনের ৬ জন দেশাত্মবোধক গানের নামে ইসলামি ‘দাওয়াতি সংগীত’ পরিবেশন করেন। বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা। এর পরে মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করে পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ জানায়, পুজোর মঞ্চে ইসলামি সংগীত পরিবেশনের অভিযোগ সত্য। ‘বৃহত্তর কোনও উদ্দেশ্যে’ তা করা হয়েছে কি না, তা জানতে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement

জে এম সেন হলের দুর্গাপুজো বেশ প্রাচীন। জামায়াতে ইসলামী ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন অনুষ্ঠানের সংযোজক সজল দত্তের কাছে দু’টি দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের অনুমতি চায়। অনুমতি পেয়ে সংগঠনের ৬ জন মঞ্চে উঠে ইসলামি দাওয়াতি গান পরিবেশন করেন, যার বার্তা ছিল— সকলের উচিত ইসলাম ধর্মের অনুসারী হওয়া। হল ভর্তি সংখ্যালঘু দর্শক অভিযোগ করেন, এই গানে তাঁদের ধর্মীয় অনুভূতি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন— ইসলামি কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কি কীর্তন গাইতে দেওয়া হবে? পুজা কমিটি সজল দত্তকে বহিষ্কার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, যাঁরা গান গেয়েছেন সকলেই স্থানীয় কয়েকটি মাদ্রাসার শিক্ষক। এঁদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বি‌শ্বাস ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে একটি মামলাও দায়ের করেছেন এক আইনজীবী।

বৃহস্পতিবারেই সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীর বিগ্রহের মাথা থেকে দিনেদুপুরে সোনার মুকুট খুলে নিয়ে চলে যায় এক দুষ্কৃতী। ২০২১-এর ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই পীঠস্থান দর্শন করে ১০০ ভরির এই স্বর্ণমুকুটটি যশোরেশ্বরীর মাথায় পরিয়ে দেন। শুক্রবার শ্যামনগর থানার পুলিশ জানায়, সিসিটিভি-তে দুষ্কৃতীর ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। এখনও কোনও মামলা হয়নি।দিল্লি থেকে বিদেশ মন্ত্রক এই চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার আসার পরে সে দেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের তৎপরতা বেড়েছে। সরকারের কাছে নিষ‌েধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিও করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে ভারতেও হিযবুত-কে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিশ্ব জুড়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য এই সংগঠন সশস্ত্র পথের অনুসারী। প্রায় ৫০টি দেশে এদের সংগঠন রয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement