কলকাতা বইমেলা। —ফাইল চিত্র।
এই পাল্টানো সময়ে সে ফিরবে কি ফিরবে না জানা নেই! অনেকটা এ ভাবেই দেখা যায় পরিস্থিতিটা। ২০২৫ সালের বইমেলার ঢাকে কাঠির আড়াই মাস আগেও অন্যতম প্রধান অতিথি দেশ বাংলাদেশ আদৌ থাকবে কি থাকবে না, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা জারি রয়েছে। বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের
সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ বিষয়ে প্রশাসনের উঁচুতলার নির্দেশ ছাড়া কিছু বলতে পারব না।’’ বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি মাজ়হারুল ইসলামের দাবি, ‘‘গিল্ডের তরফে আমাদের কাছে কোনও আমন্ত্রণ এসেছে বলে তো জানি না! আমরা অবশ্যই কলকাতা বইমেলায় আসতে আগ্রহী।’’
গিল্ড সূত্রে দাবি, বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের তরফেই গিল্ডকে প্রতি বার বইমেলায় অংশগ্রহণের বিষয়ে বলা হয়। কিন্তু এ বার এখনও টুঁ শব্দ নেই। বাস্তবিক, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কোনও ডেপুটি হাই কমিশনার কলকাতায় কর্তব্যরত নেইও। প্রতি বছর নভেম্বর, ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের তরফে কলকাতায় বইমেলা ও চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করা হয়। এ বার তারও নামগন্ধ নেই। তবে মাজ়হারুল বলছেন, ‘‘বিভিন্ন বিভাগীয় বইমেলা (জেলাস্তরে) চলছে বাংলাদেশে। একুশে বইমেলার প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে।’’ বইমেলার আয়োজকদের ঘনিষ্ঠ মহলে কারও কারও অভিমত, ইদানীং সমাজমাধ্যমেও দুই বাংলার পারস্পরিক সম্পর্কে যে তিক্ততার ছাপ প্রকট, বইমেলায় তার ছায়া পড়াটা ভাল হবে না। ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন মানেই ছিল বইমেলার বিশেষ আকর্ষণ।
এই প্রথম জার্মানিকে থিম দেশ হিসেবে পাচ্ছে কলকাতা। জার্মানির ভাইস কনসাল সাইমন ক্লাইনপাস এবং গ্যেটে ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অ্যাস্ট্রিড ওয়েগে জানান, পরিবেশ সচেতনতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য জার্মান প্যাভিলিয়নে গুরুত্ব পাবে। স্থপতি অনুপমা কুণ্ডু জার্মান প্যাভিলিয়নটি সাজাবেন। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে জানান, ২৮ জানুয়ারি উদ্বোধন। চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত বছর ১০৫০টি স্টল ছিল। সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের স্বার্থে এ বার স্টলের সংখ্যা বাড়বে না। নিজস্ব সংবাদদাতা