Kalyani AIIMS

কল্যাণী এমসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ কলকাতা হাই কোর্টে

কল্যাণী এমসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৫৬
সিআইডি-র হাতেই তদন্তভার রাখার নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। 

সিআইডি-র হাতেই তদন্তভার রাখার নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।  ফাইল চিত্র।

কল্যাণী এমসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। সিআইডি-র হাতেই তদন্তভার রাখার নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, কল্যাণী এমসের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছিল সিআইডি। সেই তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। তারই রায় জানা গেল মঙ্গলবার।

Advertisement

বস্তুত, এমসের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিধায়ক এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেই। ‘বেআইনি ভাবে চাকরি বণ্টন’, বিশেষ করে ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া’র অভিযোগও রয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগ, তাঁরা হলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা এবং বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছিল, কল্যাণী এমসে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি-কন্যা মৈত্রী দানা চাকরি পেয়েছেন ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়েই’। ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে মাসিক ৩০ হাজার টাকা বেতনের যে চাকরিটি মৈত্রীকে ‘পাইয়ে দেওয়া হয়েছে’, তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষেরও ‘হাত’ থাকতে পারে। এ ছাড়াও রাজ্যের কয়েক জন বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল ওই জনস্বার্থ মামলায়।

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বিজেপির গয়েশপুরের এক নেত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এমসে চাকরি করিয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে দলের এক সাংসদ টাকা চেয়েছিলেন। এর পরই ওই নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে কল্যাণীর এক বিজেপি কর্মী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে মেল করে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। কল্যাণী থানায় বিজেপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ঘনিষ্ঠদের অবৈধ ভাবে এমসে চাকরি দেওয়ার অভিযোগও আনেন। এর তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি।

সম্প্রতি, নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক, বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুটমণি অধিকারীর বিরুদ্ধেও এমসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন হবিবপুরের বাসিন্দা এক যুবক। রানাঘাট থানায় এই মর্মে তিনি একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে মুকুট বলেছিলেন, “আমাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এটাও ব্যতিক্রম নয়। মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ সব বোঝে।”

Advertisement
আরও পড়ুন