Teesta River

পাহাড়ে বৃষ্টি সামান্য ধরে আসায় শান্ত হয়েছে নদী! জল নেমে চালু রাস্তাঘাটও, তবু আতঙ্কিত তিস্তাপার

সিকিম ও দার্জিলিং পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হলেই সমতলে ফুলেফেঁপে ওঠে তিস্তা। এই কারণে চলতি মরসুমে একাধিক বার জলস্তর বেড়ে গিয়ে দু’পারে তাণ্ডব চালিয়েছে নদী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৮:৪৫
তিস্তাবাজার এলাকা।

তিস্তাবাজার এলাকা। —নিজস্ব চিত্র।

বৃষ্টি কমায় শান্ত হয়েছে তিস্তা। এর ফলে খানিকটা স্বাভাবিক হল কালিম্পঙের তিস্তাবাজার এলাকা। তিস্তাবাজার থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তাতেও শুরু হয়েছে যান চলাচল। রবিবার জলপাইগুড়ি শহরের যে অংশ প্লাবিত হয়েছিল, সেখান থেকেও নেমে গিয়েছে। জলস্তর নেমেছে দোমোহনী, রায়ডাক, সঙ্কোশ, মহানন্দার।

Advertisement

সিকিম ও দার্জিলিং পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হলেই সমতলে ফুলেফেঁপে ওঠে তিস্তা। এই কারণে চলতি মরসুমে একাধিক বার জলস্তর বেড়ে গিয়ে দু’পারে তাণ্ডব চালিয়েছে নদী। রবিবারও কার্যত একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কালিম্পঙের তিস্তাবাজার এলাকায়। নদী উঠে এসেছিল জনপদে। রাস্তাঘাট জলের তলায় চলে গিয়েছিল। সোমবার পাহাড়ে বৃষ্টি একটু ধরে আসায় তিস্তার জলস্তর কমেছে। জল নেমে গিয়েছে জনপদ থেকে। এর ফলে তিস্তাবাজার থেকে মেল্লি হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তায় আবার যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে একই ভাবে সিকিম যাওয়ার অন্যতম ‘লাইফলাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এখনও বন্ধই। সড়কের কোনও কোনও টানা বৃষ্টি-ধস ও তিস্তার তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত, আবার কোনও কোনও জায়গায় মেরামতির কাজ চলছে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তিস্তার গতিপথে নানা জায়গায় দু’পাশের রাস্তাঘাট ধসে গিয়েছে। রবিঝোরা থেকে তিস্তাবাজারের পথে যে সব এলাকা তিস্তার দিকে ধিসে গিয়েছে, সেই সব এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজ করছে পূর্ত দফতর। এ দিকে, ডুয়ার্সের গরুবাথান থেকে লাভা হয়ে গাড়ি চলাচল করছে।

পরিস্থিতি খানিক স্বাভাবিক হলেও তিস্তাপারের বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটেনি। আগামী চার-পাঁচ দিন দার্জিলিং ও সিকিমে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, বৃষ্টি হলেই আবার অশান্ত হয়ে উঠবে তিস্তা!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement