Ration Case

‘মরে যাব’! টলমল পায়ে অন্যকে ধরে হাঁটছেন বালু, সিজিওর সামনে দাঁড়িয়ে আর কী বিড়বিড় করলেন?

রবিবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে দু’জন ইডি আধিকারিক ধরে ধরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান জ্যোতিপ্রিয়কে। তাঁর পা টলছিল। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলেন না। গলার স্বরও ছিল অতি ক্ষীণ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১১:২০
Jyotipriya Mallick says he is extremely ill in front of ED office Kolkata

ইডি দফতর থেকে বেরোচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। — নিজস্ব চিত্র।

পা টলছে। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। দু’পাশ থেকে তাঁকে ধরে আছেন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের উপরেই শরীর ছেড়ে দিয়েছেন। কোনও রকমে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছেন রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। রবিবার কালীপুজোর সকালে এমনই দৃশ্য দেখা গেল কলকাতার ইডি দফতরে। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে মন্ত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বার করা হয়েছিল। কিছু ক্ষণ পর আবার দফতরে ফিরিয়েও আনা হয়। আসা যাওয়ার পথে অতি ক্ষীণ কণ্ঠে বিড়বিড় করে বেশ কিছু কথা বলেছেন ধৃত মন্ত্রী।

Advertisement

তাঁর শরীর ‘অত্যন্ত খারাপ’, সাংবাদিকদের সামনে এমনটাই জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। সিজিও থেকে বেরোনোর সময় তিনি বলেন, ‘‘মারা যাব। অবস্থা খুব খারাপ।’’ বিড়বিড় করে আর কী বলেছেন, স্পষ্ট করে বোঝা যায়নি। এর পরেই ইডি আধিকারিকেরা তাঁকে ধরে ধরে গাড়িতে তুলে দেন। গাড়ির ভিতর আসনে শরীর এলিয়ে বসে পড়েন মন্ত্রী। মাথা তোলারও ক্ষমতা ছিল না তাঁর।

জ্যোতিপ্রিয়কে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কমান্ড হাসপাতালে। সেখান থেকে ফেরার পর গাড়ি থেকে নেমে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার শরীর অত্যন্ত খারাপ। মৃত্যুশয্যা প্রায়। শরীরের এক দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে।’’

রেশন মামলায় ধৃত ব্যবসায়ী তথা জ্যোতিপ্রিয়ের ঘনিষ্ঠ বাকিবুরকে শনিবার আদালতে হাজির করিয়েছিল ইডি। সেখানে তারা জানায়, বাকিবুর জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী এবং কন্যাকে বিনা সুদে ন’কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিলেন। তার জন্য কোনও বন্ধকও রাখা হয়নি। কী ভাবে সেই ঋণ দেওয়া হল, সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য বাকিবুরকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতিও চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ প্রসঙ্গে রবিবার জ্যোতিপ্রিয়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ওসব গল্প, ছেড়ে দিন।’’

স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে ফেরার পর মন্ত্রীকে ধরতে দু’জনের প্রয়োজন হয়নি। এক জন ইডি আধিকারিকই ফেরার সময় তাঁকে ধরে ধরে লিফ্‌ট পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয় দীর্ঘ দিন ধরেই সুগারের রোগী। তাঁকে গ্রেফতার করার পর ইডি যখন আদালতে হাজির করেছিল, সেই সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মন্ত্রী। তাঁকে বেশ কিছু দিন হাসপাতালে কাটাতে হয়। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে আবার ইডি দফতরে গিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। ১৩ নভেম্বর তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানো হবে।

ধৃত মন্ত্রী বারবারই দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। সাংবাদিকদের সামনে একাধিক বার বলেছেন, ‘‘আমি মুক্ত। ইডি-ও বুঝতে পেরেছে আমি মুক্ত। ১৩ তারিখ সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’ তবে তার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যাওয়ার পথে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানালেন মন্ত্রী।

Advertisement
আরও পড়ুন