ডিএ আন্দোলনে যোগদানকারী প্রাথমিক শিক্ষকের বদলিতে স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় শিক্ষককে বদলির অভিযোগ। রাজ্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যে আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন— ‘‘কোন আইনে এই বদলি?’’
ডিএ আন্দোলনের যোগদানকারী শিক্ষকের বদলির নির্দেশের উপর সোমবার স্থগিতাদেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষককে বদলি করা যাবে না।প্রসঙ্গত, ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় বদলি করা হয়েছে— এই অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাওড়ার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক অমিতকুমার ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, দূরের এক স্কুলে বদলি করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
অমিতের আবেদনের প্রেক্ষিতে, রাজ্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ধর্মঘটে যোগ দিলে কর্মজীবনে ছেদ পড়বে এই মর্মে কী ভাবে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে? কোন আইনে এই বিজ্ঞপ্তি?’’ সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ডিএ দিলে তো সমস্যা মিটে যায়।’’
প্রসঙ্গত, গত ১০ মে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডগুলিকে একটি নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। যেখানে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, যে স্কুলগুলিতে শিক্ষক অপ্রতুল সেখানে শিক্ষকের চাহিদা মেটাতেই এই বিজ্ঞপ্তি।