যশোর রোডে নিয়ন্ত্রিত হবে যানচলাচল। —ফাইল চিত্র।
নতুন বছর শুরুর আগে দু’দিন সাত ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে যশোর রোড। বারাসতের কাজিপাড়ার ১ নম্বর রেলগেটে রেললাইন পরিবর্তন করার কাজের জন্যই ১১২ (পুরনো ৩৫) নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাসত পুলিশ জেলার চাঁপাডালি ট্র্যাফিক গার্ড।
ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, আগামী ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বর রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যশোর রোড বন্ধ রাখা হবে। কাজিপাড়ায় যে রেললাইন পাতা রয়েছে, তা তুলে নতুন রেললাইন পাতা হবে। এ নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে। তার পরেই যশোর রোডে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যশোর রোড একটি আন্তর্জাতিক সড়ক, যা এ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে সড়কপথে যুক্ত করেছে। কলকাতা থেকে পেট্রাপোল চেকপোস্টের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। পেট্রাপোল দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর। সড়কপথে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের অধিকাংশই হয়ে থাকে এই বন্দর দিয়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকে করে পণ্য আসে। আর অধিকাংশ পণ্যবোঝাই গাড়িই আসে রাতের দিকে। সেই সময় যশোর রোড বন্ধ থাকলে সেগুলি ভোগান্তির মুখে পড়তে পারে।
তবে বিকল্প পথেরও ব্যবস্থা রয়েছে। ট্র্যাফিক সূত্রে খবর, ছোট গাড়িগুলিকে ভিতরের অলিগলি দিয়ে পাস করিয়ে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর তা ছাড়া যে হেতু রাতের দিকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে, তখন রাস্তায় ছোট গাড়ির সংখ্যাও কম থাকবে। মূল সমস্যা হওয়ার কথা পেট্রাপোলগামী পণ্যবোঝাই গাড়ি নিয়ে। তবে ওই দু’দিন বড় গাড়িগুলিকে বারাসত ডাকবাংলো মোড় থেকে সোজা ১২ (পুরনো ৩৪) নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পাস করানো হবে। দু’টি পথ রয়েছে। একটি হল, ডাকবাংলো মোড় থেকে সোজা আওয়ালসিদ্ধি হয়ে অশোকনগর হয়ে ফের যশোর রোডে ওঠা যাবে। অন্য রাস্তাটি চাকদহ হয়ে বনগাঁয় প্রবেশ করে যশোর রোডে ওঠা। তবে এমনিতেই ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে বড় গাড়ির চাপ থাকে। সে ক্ষেত্রে যশোর রোডের গাড়ি এই রাস্তায় উঠে পড়লে যানজট বাড়বে বলেই মনে করছেন অনেকে।
বারাসাত পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া বলেন, ‘‘রেল কর্তৃপক্ষ রেললাইন বদলানোর কাজ করবে। অনেকগুলি জায়গায় এই কাজ হওয়ার কথা। কিন্তু কোথাও একসঙ্গে হচ্ছে না। আলাদা আলাদা করে করা হচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষ বিপাকে না পড়েন। এর আগেও ১১ নম্বর রেলগেটের কাজ হয়েছে। এ বার কাজিপাড়া রেলগেট।’’