Naushad Siddiqui

জামিন হল না নওশাদদের, ১৮ জন আইএসএফ নেতাকর্মীর ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত

শনিবার ধর্মতলা থেকে আইএসএফ বিধায়ক-সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন নাবালক। ২৪ তারিখ জুভেনাইল কোর্টে উপস্থিত করানো হবে তাকে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০৬
নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠাল আদালত।

নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠাল আদালত। — ফাইল ছবি।

ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠাল ব্যাঙ্কশাল আদালত। শনিবার ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচিতে পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে আইএসএফ বিধায়ক-সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন নাবালক। ২৪ তারিখ জুভেনাইল কোর্টে উপস্থিত করা হবে তাকে। বাকি ১৮ জনকে রবিবার পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত।

রবিবার নওশাদের আইনজীবী শামিম আহমেদ জামিনের আবেদন করে জানিয়েছেন, শনিবার আইএসএফ কর্মীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। বিধায়কও ছাড় পাননি। তাঁর হাতে আঘাত লেগেছে। বিধায়কের গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে। বিধায়ককে ‘হেনস্থা’ করা হয়েছে। এঁরা সকলেই রাজনৈতিক কর্মী। তিনি আদালতে প্রশ্ন করেন যে, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন বলেই কি এসব করা হল? সরকারি আইনজীবী সেই অভিযোগ মানেননি। তিনি জানিয়েছেন, বাংলা ‘শান্তির জায়গা’। ওঁরা যা করেছেন, সেটা ‘লজ্জাজনক’। সরকারি পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তাই নওশাদদের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

শনিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতায় কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। ওই দিন বিকেলে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয়।

পুলিশের দাবি, শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকায় অফিসের সময়ে অবস্থান তুলে নিতে বলা হয়। কিন্তু আইএসএফের কর্মীরা তা অগ্রাহ্য করেই অবস্থান চালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁদের তুলতে গেলে হাতাহাতি শুরু হয়। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এর ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধর্মতলায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পুলিশের দাবি, বাঁশ, লাঠি নিয়ে চড়াও হন আইএসএফ কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। আহত হন অনেক পুলিশ কর্মী। এই ঘটনায় নওশাদ-সহ ১৯ জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে নিউ মার্কেট এবং হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। রবিবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় তাঁদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় জামিন হল না নওশাদদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement