Mysterious Death

বুঝিয়েসুঝিয়ে নাবালিকা মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি রেখে আসেন বাবা, সেই রাতেই ফিরে পেলেন নিথর দেহ

নাবালিকার বাবার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের উপর নির্যাতন চলত। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়, কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩১
মগরায় শ্বশুরবাড়িতে রহস্যমৃত্যু নাবালিকার।

মগরায় শ্বশুরবাড়িতে রহস্যমৃত্যু নাবালিকার। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বছরখানেক আগে বিয়ে হয়েছিল নাবালিকার। তার পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। সোমবার শ্বশুরবাড়িতে ১৭ বছরের সেই কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী এবং শ্বশুরকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনাটি হুগলির মগরার।

Advertisement

মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নাবালিকার। নিজেরাই ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের উপর নির্যাতন চলত। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়, কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরে তিনি মগড়া স্টেশনের কাছে মেয়েকে দেখতে পান। সেখান থেকে তাঁকে আবার বুঝিয়েসুঝিয়ে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসেন। মৃতার বাবার কথায়, ‘‘ রাতে জামাই ফোন করে বলে, মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে।’’

নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, মেয়ের শ্বশুড়বাড়ি পৌঁছে দেখেন বিছানায় পড়ে রয়েছে নিথর দেহ। তাকে মগরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃতার বাবার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাবা। পকসো ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার স্বামী এবং শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁদের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের দেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন