চোলাইয়ের ঠেক ভাঙতে অভিযান গ্রামের মহিলাদের

বুধবার ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মহিলাদের উদ্ধার করা বেশ কয়েক লিটার চোলাই তারা বাজেয়াপ্ত করে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৫
মদের ঠিক ভাঙলো তুলসীবেড়িয়া সরদারপাড়ার মহিলারা।

মদের ঠিক ভাঙলো তুলসীবেড়িয়া সরদারপাড়ার মহিলারা। —নিজস্ব চিত্র।

এলাকায় চোলাই মদের ঠেক গজিয়েছিল। ভেঙে দিলেন গ্রামের মহিলারা। অভিযোগ, পুরুষেরা নেশা করে বাড়ি ফিরে অত্যাচার করেন মহিলাদের উপরে। বহুবার পুলিশ বা আবগারি দফতরকে জানানো হয়েছে, কোনও লাভ হয়নি। তাই গত তিনদিন ধরে উলুবেড়িয়ার রাজাপুর থানার তুলসীবেড়িয়া সর্দারপাড়ার মহিলারা নিজেরাই অভিযান চালালেন।

Advertisement

বুধবার ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মহিলাদের উদ্ধার করা বেশ কয়েক লিটার চোলাই তারা বাজেয়াপ্ত করে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পুলিশ মাঝেমধ্যেই হানা দেয়। অনেকেই গ্রেফতারহয়েছে। এ বার আরও বেশি নজরদারি চালানো হবে।”

উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, “আমার এলাকা থেকে চোলাই মদের ঘাঁটি তুলে দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে। এটাও বলা হয়েছে সাদা পোশাকে মোটরবাইক নিয়ে টহল দিতে। পুলিশের গাড়ি দেখলেই ওরা পালায়। পুলিশ বেশ কয়েক জায়গায় বন্ধ করেছে। নজরদারি আরও বাড়াতে বলেছি। তাতেও যদি বন্ধ না করতে পারে তারা, তা হলে ওই মহিলাদের সঙ্গে আমিও আন্দোলনে নামব।”

মহিলারাদের একাংশের ক্ষোভ, বাড়ির পুরুষদের রোজগারের বেশির ভাগটাই উড়ে যায় চোলাইয়ের পিছনে। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে পুরুষেরা অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। অল্প বয়সে মারা যাচ্ছেন। ছেলেমেয়েরা বাড়িতে পড়াশোনা করতে পারে না। গ্রামের কিশোর থেকে যুবকরাও মদে আশক্ত হয়ে পড়ছে।

রাতপাহারার ব্যবস্থাও করেছেন মহিলারা। এক মহিলা জানান, এর জন্য মহিলা সমিতি গঠন করা হয়েছে। তাঁরাই পালা করে পাহারা দেন। অপর এক মহিলা বলেন, “এক সময় এলাকায় চোলাই তৈরি হত। আন্দোলনের ফলে তা বন্ধ হয়েছে। এখন বাইরে থেকে মদ এনে সেগুলি প্লাস্টিকে ভরে বিক্রি হয়। কিছুতেই তা বন্ধ করা যাচ্ছিল না।”

আরও পড়ুন
Advertisement