Bhadreswar Murder Case

বান্ধবীকে নিয়ে হুগলির রাস্তায় প্রেমিককে খুন করলেন মহিলা! সিসিটিভি ধরিয়ে দিল অভিযুক্তদের

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম তাপস প্রামাণিক (৪৬)। ভদ্রেশ্বরের চাঁপদানি ডিভিসি খালধার খুঁড়িগাছি এলাকায় তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন শবনম খাতুন নামে এক মহিলা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভদ্রেশ্বর শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:০৬
Murder in Bhadreswar

(বাঁ দিকে) সিসি ক্যামেরার ধরা পড়া দৃশ্য। খুন হওয়া যুবক (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

রাস্তার উপরে এক যুবককে ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করলেন এক মহিলা। শনিবার সকালে এ নিয়ে চাঞ্চল্য হুগলির ভদ্রেশ্বর খুঁড়িগাছি এলাকায়। ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মহিলাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্পর্কের জটিলতা থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। ধৃত মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম তাপস প্রামাণিক (৪৬)। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভদ্রেশ্বরের চাঁপদানি ডিভিসি খালধার খুঁড়িগাছি এলাকায় শনিবার সকালে তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন শবনম খাতুন নামে এক মহিলা।

শবনম বিবাহিতা। আগে রিষড়ায় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। তবে বর্তমানে খুঁড়িগাছি এলাকায় বাড়িভাড়া করে বসবাস করেন। সেখানেই তাপসের সঙ্গে আলাপ হয়। বাড়িতেও যাতায়াত ছিল তাঁদের। মনে করা হচ্ছে, সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে তাপসকে খুন করেছেন শবনম। রাস্তার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ওই খুনের দৃশ্য (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। সেখানে দেখা যায়, এক জন পুরুষ এবং দুই মহিলা রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন। তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলে। হঠাৎ করেই পুরুষসঙ্গীর উপর চড়াও হন এক মহিলা। রাস্তা দিয়ে তখন এক সাইকেল আরোহী যাচ্ছিলেন। তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন। তখন দুই মহিলা রাস্তা ধরে হেঁটে চলে যান।

ছুরিকাহত হয়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি, ওই খবর পেয়ে অ্যাঙ্গাস ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে পাঠায়। জানা যাচ্ছে, দেহের ময়নাতদন্ত হবে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে কোনও অশান্তি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সময় আরও এক মহিলা ছিলেন। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’ ওই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর চাঁপদানি পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘যিনি মারা গিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই ব্যক্তির। জানতে পেরেছি, গতকাল (শুক্রবার) বিকাল থেকে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল চলছিল ওঁদের। তার পর এই ঘটনা। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরেছে। আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement