Balurghat Dandi Controversy

‘প্রায়শ্চিত্ত’ রয়েছে দলের গাইডলাইনেই! ‘ন্যাড়া’ করার নজির শোনালেন তৃণমূল সাংসদ

তপনে তিন আদিবাসী মহিলার দণ্ডি কাটার ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। তারই মধ্যে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। অতীতের ‘প্রায়শ্চিত্ত’-এর উদাহরণ দিয়েছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৫৩
TMC leader Aparupa Poddar says repentance is compulsory in party on Balurghat Dandi controversy

দণ্ডিকাণ্ডের মধ্যেই দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

দণ্ডি কেটে তিন আদিবাসী মহিলার তৃণমূলে যোগদান নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের ওই ঘটনা নিয়ে দলীয় অস্বস্তির প্রমাণ দিয়ে নিন্দাসূচক বিবৃতি দিয়েছে তৃণমূল। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তাঁর দাবি, তৃণমূলের গাইডলাইনেই রয়েছে যে, কেউ একবার দল ছেড়ে আবার যোগ দিতে চাইলে তাঁকে প্রায়শ্চিত্ত করতেই হয়। সাম্প্রতিক উদাহরণের সঙ্গে তিনি পুরনো এক নজিরও দিয়েছেন। জানিয়েছেন খানাকুলের এক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে গিয়ে ফেরার সময়ে নিজের থেকে মস্তক মুণ্ডন করেছিলেন।

তপনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দণ্ডি কাটানোর পরে যোগদান করানো প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। সোমবারই এই বিষয়ে তফসিলি কমিশন থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দোষীদের সাজার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছু না বললেও দলের অনেক নেতাই অনুতাপ প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যেই সোমবার আরামবাগের সাংসদ বলেন, ‘‘পার্টির একটা গাইডলাইন আছে, যদি কেউ ভুল করে থাকে প্রায়শ্চিত্তের মাধ্যমে দলে ঢুকতে হবে। ২০২১ সালে ভুল বুঝিয়ে যাঁদের বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তাই তাঁরা প্রায়শ্চিত্ত করে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছিলেন।’’

Advertisement

এখানেই থামেননি অপরূপা। তিনি নিজের লোকসভা এলাকা আরামবাগের অন্তর্গত খানাকুল বিধানসভার একটি উদাহরণ দেন। জানান, খানাকুলের অনেকে স্বেচ্ছায় মস্তক মুণ্ডন করেই তৃণমূলে ফিরেছিলেন। অপরূপা বলেন, ‘‘খানাকুলে প্রায়শ্চিত্ত করে দলে ফিরেছিলেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের ঘটনাতেও তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন।’’ একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, বিজেপিতে আদিবাসী সম্প্রদায়কে শোষণ করা হয়। সেটা বুঝেই তাঁরা ফিরে এসেছেন।

তবে অপরূপা এমনটা বললেও দল তাঁকে সমর্থন করছে না। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মুখপাত্র স্নেহাশিস চক্রবর্তী সাংসদের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দল এই ধরনের কোনও গাইডলাইন দেয় না। অন্য দল থেকে কেউ যদি আসতে চান তাঁদের আবেদন করতে হয়। দল মনে করলে তাঁকে গ্রহণ করে। এ ধরনের ঘটনা যেখানেই ঘটে থাকুক সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দল অনুমোদন করে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement