Government Sponsored English Medium School

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া টানতে ইংরেজি মাধ্যমে জোর রাজ্য সরকারের, মিলছে সাড়া

হাওড়া জেলার দু’টি বিদ্যালয়ের সাফল্য দেখে আরও পাঁচটি বিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্তর থেকে ইংরাজি মাধ্যম চালু করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে শিক্ষা দফতরে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:০৪
সরকারি উদ্যোগে সাড়া দিয়ে বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে পড়ুয়ারাও।

সরকারি উদ্যোগে সাড়া দিয়ে বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে পড়ুয়ারাও। —নিজস্ব চিত্র।

সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়া টানতে ইংরেজি মাধ্যমে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সরকারি উদ্যোগে সাড়া দিয়ে বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে পড়ুয়ারাও। হাওড়া জেলার দু’টি বিদ্যালয়ের সাফল্য দেখে আরও পাঁচটি বিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্তর থেকে ইংরাজি মাধ্যম চালু করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে শিক্ষা দফতরে।

Advertisement

সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত অনেক বাংলা মাধ্যম স্কুলই এখন ধুঁকছে। শিক্ষক- শিক্ষিকা থাকলেও পড়ুয়াদের সংখ্যা হাতেগোনা। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়তে বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যমের স্কুলের উপরেই ভরসা রাখছেন বেশির ভাগ অভিভাবক। এই অবস্থার মোকাবিলা করতে প্রাথমিক স্তর থেকেই ইংরেজি মাধ্যম চালু করার পরিকল্পনা আগেই নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই হাওড়া শহরের দু’টি বিদ্যালয়কে ইংরেজি মাধ্যম করা হয়েছে। যার মধ্যে সালকিয়া সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয় অন্যতম। ১৯২৩ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পথ চলা শুরু। তবে বিগত কয়েক বছরে বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের সংখ্যা একেবারে কমে গিয়েছিল। এর পরে সরকারি উদ্যোগে ২০১৯ সালে ওই বিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যম চালু হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে স্কুলের টিচার ইনচার্জ অনির্বাণ দাস বলেন, ‘‘একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে বর্তমানে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্কুল। এখন ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ১৮০ জন। ভর্তির আগে লিফলেট বিলি করে ও বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার দিয়ে প্রচার করা হয়। খুব ভাল সাড়া মিলছে। ইংরেজিতে সাবলীল ভাবে ক্লাস করছে পড়ুয়ারা। অভিভাবকেরাও খুব খুশি।’’

হাওড়া জেলা প্রাথমিক বিভাগের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম চালু করা হয়েছিল। ইংরেজিতে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। বর্তমানে সালকিয়া সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয় ও বেলুড় খামারপাড়া বিদ্যালয় দু’টি ইংরাজি মাধ্যমের। জেলার আরও পাঁচটি এ রকম বিদ্যালয়কে ইংরেজি মাধ্যম করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”

Advertisement
আরও পড়ুন