Poor condition of road

অ্যাম্বুল্যান্সের বিকল্প খাটিয়া, বেহাল রাস্তায় বাড়ছে ক্ষোভ

বিষষটি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যাতে নির্বাচনী বিধি উঠে গেলে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটির আমূল সংস্কার করা যায়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ ০৮:০০
এই রাস্তা সংস্কারের দাবিতেই বিক্ষোভ এলাকাবাসীর।

এই রাস্তা সংস্কারের দাবিতেই বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। নিজস্ব চিত্র।

শেষ বার মোরাম পড়েছিল বাম আমলে। আরামবাগের তৃণমূল পরিচালিত মাধবপুর পঞ্চায়েতের হামিরবাটী এবং এলমা গ্রামের মধ্যে বিস্তৃত প্রায় ১ কিমি রাস্তাটি তারপর থেকে আর সংস্কার হয়নি। সংস্কারের দাবি উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। বুধবার ফের একই কারণে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার রাস্তার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখলেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

গ্রামবাসীদের তরফে শেখ মবিদুল্লার অভিযোগ, ‘‘বছর দশেক ধরে রাস্তাটির ভগ্নদশা। রাস্তাটি কংক্রিটের করার দাবি করছি আমরা।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘স্রেফ রাস্তাটি ঢালাই করার শর্তেই গত কয়েক বছর ধরে আমরা বর্তমান শাসকদলকে ভোট দিয়েছি। কিন্তু ঢালাই দূর, বোল্ডার-মোরাম ফেলে যাতায়াতের উপযোগী পর্যন্ত করা হয়নি। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।’’

রাস্তাটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান শেখ খাদেমুল ওহাব বলেন, ‘‘গ্রামবাসীর ক্ষোভ এবং দাবি ন্যায্য। এ বার পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তাটি সংস্কারের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু খান পঁচিশ রাস্তার অনুমোদন হলেও অজ্ঞাত কারণে হামিরবাটীর রাস্তাটি তালিকায় নেই দেখছি।’’ রাস্তাটি হামিরবাটী এবং এলমা গ্রাম— পঞ্চায়েতের এই দুই সংসদের হওয়ায় বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সদস্যদের নজর এড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে তাঁর ধারণা।

প্রধান জানান, আপাতত পঞ্চায়েতের তরফে রাস্তার গর্ত বুজিয়ে চলাচলের যোগ্য করা হবে। বিষষটি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যাতে নির্বাচনী বিধি উঠে গেলে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটির আমূল সংস্কার করা যায়।

গ্রামবাসীদের খেদ, গত দশ বছরে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প, কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন তহবিল বা পথশ্রী প্রকল্পে পঞ্চায়েতে এলাকায় অধিকাংশ গ্রামের রাস্তা কংক্রিটের হয়েছে। কিন্তু এই রাস্তাটিতে হাত পড়েনি। পরিস্থিতি এমন যে, রাস্তা জুড়ে গর্ত হয়ে থাকায় অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে পারে না। রোগী নিয়ে যেতে হলে ১ কিলোমিটার দূরে দোলুইপাড়া পর্যন্ত কাঁধে বা খাটিয়ায় রোগীকে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। খানাখন্দে পড়ে সাইকেল, মোটরবাইক নিয়ে দুর্ঘটনারও কবলে পড়তে হচ্ছে হামেশাই।

আরও পড়ুন
Advertisement