পামেলা অধিকারী। ফাইল ছবি।
বালির কিশোরী পামেলা অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে হানা দিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযুক্তের নাম শেখ তারুফ (১৯)। তবে সানি খান নামেই তাঁর সঙ্গে নেটমাধ্যমে আলাপ হয়েছিল পামেলার।
৪ জুলাই বালির দেশবন্ধু ক্লাব সংলগ্ন এলাকার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল পামেলার ঝুলন্ত দেহ। আত্মঘাতী হওয়ার আগে মোবাইলের পাসওয়ার্ড নিজের হাতে লিখে গিয়েছিলেন জাতীয় স্তরের ওই ক্যারাটেকা। সানি খান নামের এক যুবক পামেলাকে ব্ল্যাকমেল করছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন পামেলার পরিবারের লোক। এর পর ঘটনার তদন্তে নামে বালি থানার পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছিল, অভিযুক্তের আসল নাম সানি খান নয়। তা হলে সানি খান আসলে কে? তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেন সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা। সেই খোঁজ পেয়ে বালি থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে গিয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার কুরমুনা গ্রামে। সেখানে গলসি থানার সহযোগিতায় শেখ তারুফ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, এই শেখ তারুফই সানি খান নামে বন্ধুত্ব করেছিল পামেলার সঙ্গে। তারুফের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
তারুফ ওরফে সানির সঙ্গে পামেলার বন্ধুত্ব নিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, এক বছর আগে সানি খানের সঙ্গে নেটমাধ্যমে বন্ধুত্ব হয় পামেলার। পরে সে জানতে পারে সানি বিবাহিত। তখন সে সানির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায়। কিন্তু সব কিছু জানার আগেই সানির সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি-ভিডিয়ো সে শেয়ার করেছিল। সানি সেই ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাত। ৪ জুলাই সানি আরও ছবি-ভিডিয়ো পাঠাতে বলে। না পাঠালে পামেলার মা-বাবাকে ওই সব ছবি পাঠানোর ভয় দেখায় সানি। এর পরই প্রবল মানসিক চাপে পামেলা আত্মঘাতী হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।