Bandel Murder Case

কলকাতা পুরকর্মী লালবাবু খুনে অভিযুক্ত আরও এক জন গ্রেফতার ব্যান্ডেলে, কী কারণে হত্যা?

গত বুধবার দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ব্যান্ডেল নিউ কাজিডাঙা এলাকায় গুলি করে খুন করা হয় কলকাতা পুরসভার কর্মী লালবাবুকে। খুনের তদন্তে নামে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ব্যান্ডেল শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ১৭:১৫

—প্রতীকী চিত্র।

হুগলির ব্যান্ডেলে কলকতা পুরসভার কর্মী লালবাবু গোয়ালাকে খুনে অভিযুক্ত আরও এক জনকে গ্রেফতার করল চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম চিরঞ্জিৎ রায় ওরফে রামা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১১ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

গত ৩ জুলাই, বুধবার সন্ধ্যায় দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ব্যান্ডেল নিউ কাজিডাঙা এলাকায় গুলি করে খুন করা হয় কলকাতা পুরসভার কর্মী লালবাবুকে। খুনের তদন্তে নামে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। মৃতের পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর মৃতের ভাইপো আদিত্য গোয়ালাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার রাতে ব্যান্ডেল থেকে রামাকে পাকড়াও করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, পুরোনো শত্রুতার জেরে খুন করা হন লালবাবু। যদিও মঙ্গলবার থানা থেকে রামাকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে খুনের অভিযোগ অস্বীকার রামা। পাশাপাশি লালবাবু খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।

তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের কিছু দিন আগে লালবাবুর সঙ্গে ভাইপো আদিত্যের ঝগড়া হয়েছিল। তখন জ্যাঠাকে খুনের হুমকি দেন নৈহাটির ঋষি বঙ্কিম কলেজের ছাত্র। তার পরেই ওই খুনের ঘটনা ঘটে। যে জায়গায় লালবাবু খুন হন, সেই জায়গাটি আলোআঁধারি ছিল। মাঠের পাশ দিয়ে আদিত্যের বাড়ি কয়েক সেকেন্ডের রাস্তা। আদিত্য নিজেই খুন করেছেন না কি, খুনের জন্য কাউকে ভাড়া করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পাশাপাশি খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলবে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন
Advertisement