NO Mid Day Meal

দুই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাল নেই, চার দিন রান্না বন্ধ

আরামবাগের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক তথা সিডিপিও সায়ন্তন জোয়ারদার বলেন, “দিন পনেরো আগে চাল নিয়ে যে সমস্যা ছিল, তা মিটে গিয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৮
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে  শিশুদের খাওনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ক্ষোভ অভিভাবকদের। আরামবাগের চুনাইটে।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের খাওনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ক্ষোভ অভিভাবকদের। আরামবাগের চুনাইটে।

অঙ্গনওয়াড়িতে উপভোক্তাদের বরাদ্দে কাটছাঁট নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ লেগেই থাকে। চলতি ডিসেম্বর মাসে হুগলির বিভিন্ন কেন্দ্রে চাল সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এর মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রে চাল না থাকায় গত কয়েক দিন হাঁড়িই চাপল না। এমন পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার ক্ষোভ জানান আরামবাগের চুনাইট মুসলিম পাড়া ও চুনাইট গ্রামের প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন কেন্দ্রের অভিভাবকরা।

Advertisement

মুসলিম পাড়ার ৫১৩ নম্বর কেন্দ্রের অভিভাবিকা হাসিনা বেগম, পায়েল দাশগুপ্তের ক্ষোভ, ‘‘চার দিন খাবার পায়নি বাচ্চাগুলো। আগেই তো ছাতু, কলা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ বার ভাতটাই বন্ধ। এমন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলে রেখে কী লাভ?’’

চাল সরবরাহ যে নেই, তা স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী মিতা ঢল বলেন, “চালের অভাবে চার দিন রান্না হয়নি। ফলে ৩৫ জন শিশু ও এক মায়ের খাবার দেওয়া হয়নি। বিষয়টা সুপারভাইজ়ারকে বলেছি। তবে চাল চলে আসবে।’’ তিনি জানান, চাল না পাওয়া পর্যন্ত পাশের সামতা কেন্দ্র থেকে চাল এনে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে রান্না করা হবে। এমন চালের ঘাটতিতে চুনাইট গ্রামের প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন কেন্দ্রেও কয়েক দিন রান্না হয়নি বলে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সহায়িকা পাবর্তী মালিক।

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সংগঠন ‘ওয়েস্টবেঙ্গল অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড হেল্পার্স ইউনিয়ন’-এর জেলা সম্পাদিকা রীতা মাইতি জানান, ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত অনেক কেন্দ্রেই খাবার ছিল না। যাদের চাল মজুত ছিল তাদের থেকে চাল ধার নিয়ে চালাতে হয়েছে। আরামবাগে এখনও প্রায় ৫০টি কেন্দ্রে চাল ঢোকেনি।

তবে আরামবাগের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক তথা সিডিপিও সায়ন্তন জোয়ারদার বলেন, “দিন পনেরো আগে চাল নিয়ে যে সমস্যা ছিল, তা মিটে গিয়েছে। তবে কোনও কেন্দ্রে রান্না বন্ধের খবর নেই।” সংশ্লিষ্ট ব্লক দফতর সূত্রে খবর, আর্থিক বছরে তিন বার কেন্দ্রগুলিতে চাল পাঠায় জেলা। গত মাসের শেষ দিকে চাল আসায় কিছুটা দেরি হওয়াতেই এই বিপত্তি।

সমস্ত বিষয়টা নিয়ে জেলার নারী ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ দফতরের প্রকল্প আধিকারিক প্রান্তিক ঘোষ বলেন, “এখন চালের কোনও ঘাটতি নেই। সব জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও রান্না হয়নি বলে অভিযোগ পাইনি।”

আরও পড়ুন
Advertisement