Rachna Banerjee

‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়া হয়েছে’, প্লাবনে নতুন রচনা তৃণমূল সাংসদের, বিজেপি বলল, জাদুঘরে রাখা উচিত!

বুধবার বন্যাবিধ্বস্ত বলাগড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাঁদরা, মিলনগর, চরখয়রামারি-সহ ভাঙন এবং বন্যাকবলিত এলাকায় যান। তার পরেই ডিভিসি-কে তোপ দাগেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বলাগড় শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৫০
হুগলির বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গেলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

হুগলির বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গেলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি-কে দায়ী করলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দোষারোপ করতে গিয়ে একক গুলিয়ে ফেললেন তিনি। তৃণমূলের তারকা সাংসদ গম্ভীর ভাবে বললেন, ‘‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়িঘর কিচ্ছু নেই! সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। আর ওরা (ডিভিসি) বলছে, জানিয়ে পাঠিয়েছে!’’ রচনা জানান, সত্যিটা কি এই মুহূর্তে তাঁর জানা নেই। তবে যা হয়েছে, ঠিক হয়নি। অন্য দিকে, সাংসদের কিউসেকের সঙ্গে কুইন্টাল গুলিয়ে ফেলা নিয়ে বিজেপির খোঁচা, ‘‘ওঁকে মিউজ়িয়ামে রাখা উচিত।’’

Advertisement

বুধবার বন্যাবিধ্বস্ত বলাগড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তৃণমূল সাংসদ রচনা। চাঁদরা, মিলনগর, চরখয়রামারি-সহ ভাঙন এবং বন্যাকবলিত এলাকায় যান। তিনি জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করতে কেন্দ্র সাহায্য করেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়ে সেই কাজ করছেন। তেমনই বলাগড়ে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে কোনও পরিকল্পনা করা যায় কি না দেখা হবে। তার পরেই রচনা নিশানা করেছেন ডিভিসি-কে। তাঁর কথায়, ‘‘যেটা হয়েছে, খুব খারাপ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে বিষয়ে বলেছেন, সে বিষয়ে আমি আর কিছু বলব না। উনি আমাদের গুরুজন।’’

রচনার ‘কুইন্টাল’ মন্তব্য নিয়ে হুগলি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উচিত হুগলির সাংসদকে মিউজ়িয়ামে রাখা। সাংসদ বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়ছে! জল কুইন্টালে কবে থেকে মাপা শুরু হল? ওঁর ন্যূনতম জ্ঞান নেই। তাই ভুলভাল বকছেন। কপালে দুঃখ রয়েছে সাধারণ মানুষের।’’ উল্লেখ্য, তরল প্রবাহের পরিমাপের একক হল কিউসেক। প্রতি সেকেন্ডে এক ঘনফুটকেও কিউসেক বলা হয়।

নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে সিঙ্গুরের গরুর দুধ থেকে তৈরি দই-ই কেন বেশি ভাল তার ব্যাখ্যা দিয়ে কটাক্ষের শিকার হন রচনা। আবার রাইস মিলের চিমনির ধোঁয়া দেখে তৃণমূল প্রার্থী প্রশ্ন করেছিলেন, হুগলিতে নাকি শিল্প হয়নি? যা নিয়ে বিস্তর মিম ছড়ায় সমাজমাধ্যমে। তা নিয়ে রচনা বলেছিলেন মিম তাঁর ভালই লাগে। বুধবার এক বিজেপি নেতার খোঁচা, ‘‘মিম তৈরির রসদ উনি নিজেই দেন। যাঁরা মিম করেন, তাঁদের দোষ কী?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement