—প্রতীকী চিত্র।
‘সকলের জন্য গৃহ’ প্রকল্পে নির্মীয়মাণ ঘরের সানসেট ভেঙে আহত হল দুই শিশু ও দুই বালিকা। বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়ার বাণীতলা
শা’পাড়ার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে বাড়িটির সামনে খেলছিল ওই চার জন। আচমকাই সিঁড়িঘরের সানসেট ভেঙে তাদের উপরে পড়ে। স্থানীয়েরা তাদের উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। জামিরুল শা নামে চার বছরের একটি শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। আহত অন্যেরা হল ৭ বছরের খাদিজা খাতুন, ৯ বছরের আফিনা খাতুন এবং ১৩ বছরের পারভিনা খাতুন। জামিরুল হল খাদিজার ভাই।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন অধিকারী বলেন, ‘‘প্রকল্পটি এক তলা ঘরের। সিঁড়ির নকশা নেই। বিরোধীদের ওয়ার্ডে নকশা ছাড়া বাড়ি করলে পুরসভা টাকা আটকে দিচ্ছে। অথচ, উপ-পুরপ্রধান ইনামুর রহমান নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে নিজের ওয়ার্ডে এই বেনিয়ম করছেন। কোনও শিশুর যদি ক্ষতি হয়, দায় পুরসভাকে নিতে হবে।’’ স্থানীয়দের একাংশেরও প্রশ্ন, প্রকল্পে অনুমোদন না থাকলেও কী ভাবে সিঁড়ি করা হচ্ছিল? পুরসভার নজরদারি কেন ছিল না? নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে।
তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। ঠিকাদার নাসির মল্লিকের দাবি, ‘‘প্রকল্পের নকশা মেনেই কাজ করছি। যথাযথ মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঝখানে কাজ বন্ধ থাকার সময় বাড়ির মালিক নিজের ইচ্ছেমতো সিঁড়িঘর বানিয়েছেন। সেই সানসেট ভেঙেছে। ঠিকাদার বা পুরসভার দোষ নেই।’’ একই দাবি স্থানীয় পুরসদস্য তথা উপ-পুরপ্রধানের। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর দাবি, ‘‘নকশা ছাড়া বাড়ি হয়নি। এ ক্ষেত্রে তদন্ত করে দেখা হবে।’’ উপভোক্তার স্বামী কালাম শাহের দাবি, ‘‘ঠিকাদারকে জানিয়েই সিঁড়িঘর করছিলাম। কী ভাবে ভাঙল বুঝতে পারছি না।’’ পুলিশ জানিয়েছে, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।