মেরামতির কাজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হল। —প্রতীকী ছবি।
সরকারি মহিলা কলেজের হস্টেলের ছাদ মেরামত করা হচ্ছিল নিম্ন মানের মালমশলা দিয়ে। কোনও ভাবে সেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ের কানে। এর পরেই তড়িঘড়ি কলেজে পৌঁছে সেই অনিয়ম হাতেনাতে ধরলেন তিনি। মেরামতির কাজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিলেন। একই সঙ্গে মন্ত্রী জানিয়েছেন, যে ঠিকাদার এই কাজ করছিলেন, তাঁকে প্রয়োজনে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।
শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কলেজ বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে। লোকমুখে এটি হাওড়া গার্লস কলেজ নামে পরিচিত। কলেজ সূত্রের খবর, সেটির তেতলা ছাত্রী আবাসের একাধিক জায়গায় কংক্রিটে ফাটল ধরেছিল। হস্টেলে থাকতে ভয় পাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। তাই প্রয়োজন ছিল দ্রুত মেরামতির। কলেজের পরিচালন সমিতির নির্দেশ অনুযায়ী দিন কয়েক আগে এক ঠিকাদার সেই কাজ শুরু করেন।
এ দিন সকালে মন্ত্রীর কাছে খবর আসে, অত্যন্ত নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে হস্টেলের ছাদ ঢালাই করা হচ্ছে। এর পরেই অরূপ সদলবলে কলেজে ছুটে যান। তিনি বলেন, ‘‘আমি গিয়ে দেখি, নিম্ন মানের বালি দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। সঙ্গে সঙ্গে ঠিকাদারকে বলি কাজ বন্ধ করতে। দরকারে ওই ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। হস্টেল সংস্কারের কাজটি প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকার। একটি সরকারি কলেজে এত টাকার প্রকল্পে কী ভাবে নিম্ন মানের সামগ্রী দেওয়া হল, তা বোঝা যাচ্ছে না। প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখা হবে।’’
ঘটনা প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষা রুমা ভট্টাচার্যকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখন কলকাতার বাইরে। ঠিক কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’