Garbage

পরিকল্পনায় গলদ, হাওড়ায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে কয়েক লক্ষ টাকায় কেনা আবর্জনা ফেলার গাড়ি

২০১৩ সালে হাওড়া পুর বোর্ড দখলের পর শহরে আবর্জনা সাফাইয়ের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল তৃণমূল। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে কেনা হয়েছিল তিরিশটি আবর্জনা পরিষ্কারের গাড়ি। সেই গাড়িগুলিই বর্তমানে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:১৪
সারিবদ্ধভাবে পড়ে থাকা আবর্জনা ফেলার ট্রলি।

সারিবদ্ধভাবে পড়ে থাকা আবর্জনা ফেলার ট্রলি। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

হাওড়া পুর এলাকায় আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে কেনা হয়েছিল আবর্জনা পরিষ্কারের ভ্যান। কিন্তু পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে গাড়িগুলি। কোনওটির যন্ত্রাংশ ভেঙে গিয়েছে, কোনওটির আবার উঠে গিয়েছে রঙ! এছাড়াও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ময়লা ফেলার প্রচুর ট্রলি ভ্যান। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে সেগুলিকে নতুন করে কাজে লাগানোর উপায় নেই!

Advertisement

হাওড়া পুর এলাকায় যত্রতত্র পড়ে থাকে আবর্জনা। বহুদিন ধরে এমনটাই অভিযোগ করে আসছেন স্থানীয়েরা। একাধিক বার এ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলও। ২০১৩ সালে হাওড়া পুর বোর্ড দখলের পর শহরে আবর্জনা সাফাইয়ের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল তৃণমূল। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে কেনা হয়েছিল প্রায় তিরিশটি আবর্জনা পরিষ্কারের গাড়ি। কিন্তু সেই গাড়িগুলিই বর্তমানে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিভিন্ন সেক্টর অফিসে আগাছার আড়ালে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলি। খারাপ হয়ে গিয়েছে যন্ত্রাংশ। একই ভাবে সারি সারি দিয়ে পড়ে রয়েছে ময়লা ফেলার প্রচুর ট্রলি ভ্যান। সেগুলিও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।

অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পুরপ্রশাসকও সুজয় চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘‘গাড়িগুলো অনেক বছর আগে কেনা হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে কাজে লাগানো যায়নি। এখন ওই ভাবেই পড়ে রয়েছে গাড়িগুলি।’’ অন্য দিকে, বিরোধীদের দাবি, দীর্ঘ ছ’বছর পুরভোট হয়নি। সে জন্যই এই দুরবস্থা! আরও অভিযোগ, ঠিক মতো আবর্জনা পরিষ্কারও হয় না শহরে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সুজয় জানিয়েছেন, আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য নতুন দশটি গাড়ি কেনা হয়েছে। আরও ছ’টি কেনা হবে। আগামী দিনে জঞ্জালমুক্ত শহর গড়তে পুরসভা বদ্ধপরিকর।

Advertisement
আরও পড়ুন