Bengali Mountaineer

ককেশাস পর্বতমালার দু’টি শৃঙ্গ জয় করলেন চার বঙ্গসন্তান, তার পরেও অবশ্য রয়ে গেল আফসোস

গত ২৭ জুলাই কলকাতা থেকে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর উদ্দেশে রওনা হয় দলটি। ২ অগস্ট তাঁদের যাত্রা শুরু হয় বাকু থেকে খিলানিগ গ্রামের দিকে। সেখানেই ছিল তাঁদের প্রথম বেস ক্যাম্প।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ১২:৪৮
বাজারদুজু শৃঙ্গজয়ের পরে চার বাঙালি পর্বতারোহী।

বাজারদুজু শৃঙ্গজয়ের পরে চার বাঙালি পর্বতারোহী। —নিজস্ব চিত্র।

ককেশাস পর্বতমালার দু’টি শৃঙ্গ জয় করলেন চার বঙ্গসন্তান। ইউরোপ ও এশিয়ার সীমান্তবর্তী ওই পর্বতমালার লাগোয়া দেশ আজ়ারবাইজান। সেখান থেকেই পর্বতারোহণ করেন চার বাঙালি পর্বতারোহী। তিন দিনের মধ্যেই ওই দু’টি শৃঙ্গ জয় করেছেন তাঁরা।

Advertisement

ওই চার বাঙালি পর্বতারোহীর নাম দেবাশিস বিশ্বাস, মলয় মুখোপাধ্যায়, কিরণ পাত্র এবং অভিজিৎ রায়। দেবাশিস ভারতের প্রথম এভারেস্টজয়ী বাঙালি। ২০১০ সালে এভারেস্টে উঠেছিলেন তিনি। এর পরে ২০১১ সালে কাঞ্চনজঙ্ঘা, এমনকি অন্নপূর্ণা-১, মাকালু, মানাসালুর মতো ‘আটহাজারি শৃঙ্গ’ও জয় করেছেন তিনি। দেবাশিস থাকেন কলকাতায়। এ ছাড়া মলয় এবং কিরণের বাড়ি হাওড়ায়। অভিজিৎ আসানসোলের বাসিন্দা। মলয়ও এর আগে এভারেস্ট জয় করেছেন।

এ বারের অভিযানে তিন দিনের মধ্যে ককেশাসের যে দু’টি শৃঙ্গ তাঁরা জয় করেছেন, তার মধ্যে একটি আজ়ারবাইজান দেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ‘মাউন্ট বাজারদুজু’। যার উচ্চতা ১৪ হাজার ৬৫২ ফুট (৪৪৬৬ মিটার)। অন্যটি ‘মাউন্ট শাহদাগ’। এর উচ্চতা ১৪ হাজার ২ ফুট (৪২৪৩ মিটার)।

গত ২৭ জুলাই কলকাতা থেকে আজ়ারবাইজানের রাজধানী বাকুর উদ্দেশে রওনা হয় দলটি। ২ অগস্ট তাঁদের যাত্রা শুরু হয় বাকু থেকে খিলানিগ গ্রামের দিকে। প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার সফর করে ওই দিনে খিলানিগে পৌঁছন চার পর্বতারোহী। সেখানেই ঘাঁটি (বেস ক্যাম্প) গেড়ে ৩ অগস্ট রাত তিনটেয় তাঁরা রওনা হন শাহদাগের উদ্দেশে। সকাল ১১টা নাগাদ শৃঙ্গে আরোহণ করেন। এর পরে ৪ অগস্ট তাঁরা পৌঁছন বাজারদুজুর বেস ক্যাম্পে। কিছুটা জিপে আর তার পর কিছুটা হেঁটে ৩১০০ মিটার উচ্চতায় বাজারদুজু বেস ক্যাম্পে পৌঁছন তাঁরা। ৫ অগস্ট গভীর রাতে শুরু হয় বাজারদুজু অভিযান। সকাল ৯টা নাগাদ শৃঙ্গে পৌঁছন চার জন। তবে দু’টি শৃঙ্গজয়ের সাফল্য সত্ত্বেও তাঁদের আফসোস থেকে যাচ্ছে।

কৃষ্ণনগরের অভিজ্ঞ পর্বতারোহী দেবাশিসের নেতৃত্বেই চার জনের দলটি গিয়েছিল ককেশাসে। তিনি জানিয়েছেন, ওই দু’টি শৃঙ্গের কাছাকাছিই রয়েছে ককেশাসের আরও একটি শৃঙ্গ ‘জ়াফর’। ইচ্ছা ছিল সময় সুযোগ হলে সেই শৃঙ্গও জয় করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। সম্প্রতি জাফর শৃঙ্গের মাথায় রাখা ফলক চুরি হয়ে যাওয়ায় সেই শৃঙ্গে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। তাঁরাও অনুমতি পাননি। তাই তিন শৃঙ্গ জয়ের ইচ্ছে অপূর্ণ রেখেই ফিরতে হয়েছে চার বঙ্গসন্তানকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement