Sreerampore

সহ-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের গোলমাল, ব্যাহত পঠন-পাঠন

প্রধান শিক্ষিকা লোপামুদ্রা সাঁতরার অভিযোগ, স্কুলের কম্পিউটার কর্মী কাজে সব সময়ে ভুল করছেন। তাঁর দায় সম্পূর্ণ প্রধান শিক্ষিকার উপরে এসে পড়ছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৯
চলছে ঝামেলা। হাজির পুলিশও।

চলছে ঝামেলা। হাজির পুলিশও। —নিজস্ব চিত্র।

প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে সহ-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের গোলমালের জেরে স্কুলের পঠনপাঠন লাটে উঠল। স্কুলের মধ্যে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাতে শামিল হয় ছাত্রীদের একাংশ। প্রধান শিক্ষিকার ঘরের সামনে স্লোগান দেয় ছাত্রীরা।

Advertisement

মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীরামপুর রমেশচন্দ্র গার্লস হাই স্কুলে (উচ্চ মাধ্যমিক)। পুলিশ আসে। জেলা শিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা স্কুলে গিয়েছেন। বিষয়টি তাঁরা দেখছেন। রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে প্রয়োজনীয়় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

প্রধান শিক্ষিকা লোপামুদ্রা সাঁতরার অভিযোগ, স্কুলের কম্পিউটার কর্মী কাজে সব সময়ে ভুল করছেন। তাঁর দায় সম্পূর্ণ প্রধান শিক্ষিকার উপরে এসে পড়ছে। এ দিকে, তাঁকে কিছু বলতে গেলে স্কুলের অন্যান্য কর্মচারী ও সহশিক্ষিকাদের একাংশ প্রতিবাদ করছেন। তিনি জানান, সোমবার এ নিয়ে স্কুলে মিটিং ছিল। সে সময়ে স্কুলের এক অফিস কর্মী সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ লোপামুদ্রার। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষিকা। লোপামুদ্রা জানান, পুলিশ এসে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁর কথায়, ‘‘স্কুলে মিড ডে মিল সহ বিভিন্ন রকম দুর্নীতি হয়। শ্রেণিকক্ষে সঠিক সময়ে যান না অনেক শিক্ষিকা। এ সব তুলে ধরি বলেই আমি খারাপ হয়ে গিয়েছি।’’

প্রধান শিক্ষিকার আচরণে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন স্কুলের কর্মী ও সহ শিক্ষিকাদের একাংশ। শ্রীরামপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘উভয়় পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেছে। পুলিশের তরফে দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা দফতরের অধীন। তারাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। স্কুলের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ গিয়েছিল।’’

স্কুলের কর্মী ও সহ শিক্ষিকাদের একাংশের ক্ষোভ, প্রধান শিক্ষিকা কথায় কথায় স্কুলে পুলিশ ডাকেন। এর প্রতিবাদেই এ দিন স্কুলে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ হয়েছে। পঠন-পাঠন বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলের কর্মী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যখন তখন শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে ফাঁসিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন প্রধান শিক্ষিকা। যে দুর্নীতির অভিযোগ উনি করছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। শুধু অভিযোগ করলে হবে না। উনি (প্রধান শিক্ষিকা) তা প্রমাণ করুন। আমরাও চাই, স্কুল ভাল ভাবে চলুক। কিন্তু সেটা উনি হতে দিচ্ছেন না।’’

এ দিন বিক্ষোভকারী ও শিক্ষিকাদের সঙ্গে অভিভাবকদের তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে প্রধান শিক্ষিকা সঙ্গে বাকিদের এই দ্বন্দ্বে।

আরও পড়ুন
Advertisement