Netaji Bhawan of bansberia

অসম্পূর্ণ পড়ে বাঁশবেড়িয়ার ‘নেতাজি ভবন’

ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সভার সদস্য বরুণ মুখোপাধ্যায় নিজস্ব তহবিল থেকে ২০১৫ সালে আড়াই কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছিলেন।

Advertisement
সুশান্ত সরকার 
বাঁশবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:২১
প্রেক্ষাগৃহে ঢোকার মুখেই জঙ্গল। নিজস্ব চিত্র

প্রেক্ষাগৃহে ঢোকার মুখেই জঙ্গল। নিজস্ব চিত্র

শহরে কোনও সাংস্কৃতিক মঞ্চ ছিল না। সংস্কৃতি চর্চার সুবিধার জন্য বাঁশবেড়িয়া পুরসভার অধীনে একটি মঞ্চ-সহ প্রেক্ষাগৃহ আট বছর আগে তৈরির কাজ শুরু হলেও পাঁচ বছর হল কাজ বন্ধ পড়ে। এলাকার সংস্কৃতিপ্রেমীদের দাবি, রাজ্য সরকার ও পুরসভা যৌথ উদ্যোগে শহরের স্থায়ী মঞ্চটির কাজ দ্রুত শেষ করে তা চালু করুক।

Advertisement

ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সভার সদস্য বরুণ মুখোপাধ্যায় নিজস্ব তহবিল থেকে ২০১৫ সালে
আড়াই কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছিলেন। পুরসভার পিছনে ১৫ কাঠা জমিতে সেই প্রেক্ষাগৃহ তৈরির কাজ ২০১৭ সালেই থেমে যায়। প্রেক্ষাগৃহটির নাম হয় ‘নেতাজি ভবন’। কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ ও দর্শক আসন নেই। ভবনের আশপাশ জঙ্গলে ভরে গিয়েছে।

এলাকার প্রবীণ সাহিত্যিক অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দিন কুড়ি আগে দিদিকে বলো নম্বরে ফোন করে সাংস্কৃতিক মঞ্চের কথা জানিয়েছি। এখনও উত্তর মেলেনি। বার বার পুরসভাকে জানিয়েও সুফল পাইনি।”

পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগী বলেন, “নেতাজি ভবন সম্পূর্ণ করতে এখনও দু'কোটির বেশি খরচ। বিদ্যুতের সরঞ্জাম, সেন্ট্রাল এসি, ৫৮০টি দর্শক আসন, মেরামত, নতুন রং করাতে হবে। এত টাকা পুরসভার নেই। সরকারি সাহায্য চাই। আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি। এ ছাড়াও কেএমডি-এর কাছে আবেদন করেছি। পুজোর পরে রাজ্য সরকারের কাছে দরবার করব।”

স্থানীয় বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, “বাঁশবেড়িয়া এলাকায়
অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এই ভবনটি সম্পূর্ণ করাতে অনেক টাকা
প্রয়োজন। কী ভাবে কাজটি সম্পূর্ণ করা যায় দেখছি।”

আরও পড়ুন
Advertisement