(বাঁ দিকে) কুণাল ঘোষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।
সরকার-বিরোধী প্রতিবাদে শামিল শিল্পীদের বয়কট নিয়ে তরজা শুরু হল তৃণমূল কংগ্রেসেই। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বয়কটের পরামর্শ খারিজ করে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! তাঁর মতে, ‘‘কোথায় কাকে দিয়ে কে গান গাওয়াবেন, কখন গাওয়াবেন, কে গান গাইবেন, আমি জোর করে কারও মাথায় চাপাতে চাই না! স্বাধীনতা সকলের আছে।’’
আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের অন্যান্য অংশের মতো বিনোদন জগতের কুশীলব, শিল্পীরাও পথে নেমেছিলেন। সরকারের সমালোচনা করে মিছিল, সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁরা। তার প্রেক্ষিতেই এ বারে শীতের সময়ে জলসা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সেই শিল্পীদের না নেওয়ার কথা বলেছিলেন কুণাল। তাঁর বক্তব্য ছিল, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, সেখানে যেন সেই শিল্পীরা ডাক না পান। কারণ, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ’ করেছেন এবং সরকার সম্পর্কে ‘কুৎসা’ করেছেন। কুণালের এই ঘোষণার পরেই একাধিক জায়গায় অনুষ্ঠান পরিকল্পনা বদল করতে শুরু করেন উদ্যোক্তা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তবে ডায়মন্ড হারবারে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে একটি কর্মসূচিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেছেন, ‘‘দলের তরফে কেউ বলেছে? কোনও নোটিস দেখেছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা আমি জেনারেল সেক্রেটারি কিছু বলেছি?’’
অভিষেক দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে খারিজ করে দিলেও কুণাল অবশ্য নিজের মতে অনড় থেকেছেন। তিনি রাতে বলেছেন, ‘‘প্রতিবাদের অধিকার সকলের আছে। রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীরা তা করবেনও। কিন্তু যাঁরা কুৎসা করে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি চাইছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে আমি এখনও একই মত জানাচ্ছি।’’ অভিষেকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘‘মমতাদি চূড়ান্ত আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তিনি বললেই আমি এই মত ফিরিয়ে নেব!’’