—ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হুগলির খানাকুল। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল খানাকুল ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বোমাবাজি, ইটবৃষ্টির অভিযোগ তুলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এই পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৮। এর মধ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই ন’টি করে আসন পায়। বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন ছিল সেখানে। অভিযোগ, শাসকদল জোর করে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে। তা নিয়েই বচসা বাধে দু’পক্ষের মধ্যে। পরে তা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। বোমাবাজি, ইটবৃষ্টিও হয়। ভাঙচুর করা হয় সরকারি দফতরের গাড়িও। এলাকা শান্ত করতে এলাকায় র্যাফ নামানো হয়।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল জোর করে পঞ্চায়েত দখলের চেষ্টা করেছে। রামমোহন ১ পঞ্চায়েতে আমরা টসে জিতে বোর্ড করেছি। খানাকুলে ওরা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করে। বিজেপির যাঁরা সেখানে ছিলেন, তাঁদের মারধর করে সরিয়ে দেওয়া হয়।’’ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। তৃণমূলের আরামবাগ জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, ‘‘খানাকুল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা বোর্ড গঠন করেছি নিয়ম মেনে। রামমোহন ১ পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে গিয়েছে। ঠাকুরানি চক পঞ্চায়েতে ভোটাভুটি হওয়ার সময় বিজেপি ব্যালট ছিঁড়ে দেয়। তৃণমূলকে মারধোর করে। আমাদের চার জন আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বোর্ড গঠন থমকে যায়।’’