Electrocuted to death

নিজের জীবন দিয়ে মাকে বাঁচাল হুগলির কিশোর! বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গিয়ে মৃত্যু ছাত্রের

বাড়িতে কাজ করার সময় অসাবধানবশত বিদ্যুতের মিটার বক্সের একটি তারে হাত দিয়ে ফেলেন মা। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে যায় কিশোর। মাকে ধাক্কা দিয়ে সরায় সে। কিন্তু নিজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১০

—প্রতীকী চিত্র।

তারিদাহত মাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিল অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া। রবিবার হুগলির পান্ডুয়ার খন্যান দক্ষিণপাড়া এলাকায় এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত কিশোরের নাম অরিত্র ঘোষ (১৩)।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বাড়িতে কাজ করার সময় অসাবধানবশত মিটার বক্সের তারে হাত দিয়ে ফেলেন অরিত্রের মা। মায়ের চিৎকার শুনে ছুটে যায় কিশোর। বিপদ দেখে মাকে জোরে ধাক্কা দিয়ে সরায় সে। কিন্তু নিজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ওই কিশোর। তাদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরা ছোট্ট অরিত্রকে উদ্ধার করে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা ছাত্রটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের আবহ এলাকায়। ছেলের মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন মা-সহ গোটা পরিবার। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

ওই ঘটনা নিয়ে সুকুর আলি সরকার নামে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘ছেলেটির মা বিদ্যুতের মিটার বক্সে হাত দিয়ে তড়িদাহত হয়। ছেলে সেটা দেখে মাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাকে বাঁচিয়ে দিলেও নিজেকে রক্ষা পরতে পারল না খুদে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে অরিত্রের।’’ এ নিয়ে হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। বাড়িতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় ওই কিশোর। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। আমরা দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement