নির্বাচন ছাড়াই চলছে হাওড়া পুরসভা! প্রতিবাদে বিজেপি

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:২৮

—নিজস্ব চিত্র।

পাঁচ বছর আগে এই দিনেই হাওড়া পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। এর পর থেকে টানা পাঁচ বছর হাওড়া পুরসভা প্রশাসকমণ্ডলীর হাতে। এরই প্রতিবাদে রবিবার পুরসভার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি।

Advertisement

২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর হাওড়া পুরসভায় তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর নানা ধরনের আইনি জটিলতার কারণে আর কোনও নির্বাচন হয়নি। এর মধ্যে উন্নয়নের স্বার্থে ২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। আবার ২০১৮ সালের পর রাজ্য সরকার বালি পুরসভাকে ফের হাওড়া পুরসভা থেকে আলাদা করার জন্য বিধানসভায় নতুন বিল পাশ করে। কিন্তু তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এই বিলে সম্মতি দেননি। ফলে আটকে যায় নির্বাচন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও বালি পুরসভা এবং হাওড়া পুরসভায় আলাদা করে ভোটের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তার পরিবর্তে বেশ কয়েক দফায় বসানো হয় প্রশাসকমণ্ডলী। এই নিয়েই তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। গত কয়েক বছরে তারা বেশ কয়েক বার ভোটের দাবিতে হাওড়া পুরসভা ঘেরাও করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রবিবার পুরসভার সামনে ‘গণতন্ত্রের হত্যা দিবস’ পালন করে কেক কাটলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।

বিজেপি রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, ‘‘এক দিকে যেমন হাওড়ার মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, ঠিক তেমনি তারা পুরসভার পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আজ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেল বিনা নির্বাচনে। তারই প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। যাতে রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙে।’’ পাল্টা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপির এটাই কৃষ্টি ও সংস্কৃতি। যেখানে মানুষ কেক কেটে জন্মদিন উদ্‌যাপন করেন, সেখানে বিজেপি পুরসভার সামনে কেক কাটছে। হাওড়ার মানুষ জানেন, শহরের উন্নয়নের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, তার উত্তর নির্বাচন হলেই হাতেনাতে পাবে বিজেপি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement