Ganges

গঙ্গা-ভাঙনে ত্রস্ত বৈদ্যবাটী, একাধিক বাড়িতে ফাটল

রাজবংশীপড়ায় প্রায় ২০০ মৎস্যজীবী পরিবারের বাস। রাতে নৌকো নিয়ে মাছ ধরতে বেরোন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বেরোতে হচ্ছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বৈদ্যবাটী শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৫১
An image of Ganga Ghat

এ ভাবেই ভাঙছে গঙ্গার পাড়। বৈদ্যবাটীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবংশীপাড়া সংলগ্ন এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।

হুগলিতে গঙ্গাপাড়ের ভাঙন অব্যাহত।

Advertisement

উত্তরপাড়া থেকে বলাগড় পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় এই পরিস্থিতি। গত কয়েক দিনে জোয়ারের চাপে নতুন করে পাড় ভাঙছে বৈদ্যবাটী পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবংশীপাড়ায় ঘাট-সংলগ্ন এলাকায়। কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। কার্যত গঙ্গার কিনারে এসে ঠেকায় সেগুলি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দুর্ভাবনা খেলার মাঠ নিয়েও।

সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো জানান, ভাঙন নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রকে একাধিক বার জানানো হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন জানান, তিনি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের দ্বারস্থ হবেন। তাঁর কথায়, ‘‘দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে না পারলে ৭-৮টি বাড়ি তলিয়ে যেতে পারে। অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসাবে পুরসভার তরফে বাঁশ পুঁতে আধলা ইট পাইলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।’’ ওই বাড়িগুলির কোনওটিতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে ফাটল বেড়েছে।

রাজবংশীপড়ায় প্রায় ২০০ মৎস্যজীবী পরিবারের বাস। রাতে নৌকো নিয়ে মাছ ধরতে বেরোন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বেরোতে হচ্ছে। আশপাশের বহু মানুষ এই ঘাট ব্যবহার করেন। সমস্যায় পড়ছেন তাঁরাও। স্থানীয়দের ক্ষোভ, অপরিকল্পিত ভাবে গঙ্গা থেকে বালি তোলার ফলে গত ৪-৫ বছর ধরে ভাঙন চলছে। রাজবংশীপাড়ায় কংক্রিটের ঘাট সম্পূর্ণ তলিয়ে গিয়েছে৷ স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনের লোকজন মাঝে মধ্যে পরিদর্শনে এসে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি‌ দেন। কিন্তু কিছুই হয়নি। স্থানীয় মানুষের দাবি, ভাঙন রোধে অবিলম্বে পাকাপাকি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

জেলা সেচ দফতর সূত্রের খবর, হুগলিতে ৭৮ কিলোমিটার গঙ্গার পাড় রয়েছে। বেশিরভাগ জায়গাতেই কমবেশি ভাঙনের সমস্যা রয়েছে। সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘গঙ্গা নদী জাতীয় সম্পত্তি। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেন্দ্র ও রাজ্যের। ভাঙন রোধে টাকার সংস্থান বড় সমস্যা। ছোটখাটো ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, সরকারি নির্দেশ বলা হয়েছে, ভাঙনপ্রবণ এলাকায় গঙ্গার পাড় থেকে পিছিয়ে এসে নিরাপদ জায়গায় বসবাস করতে। এতে ক্ষয়ক্ষতি কমবে। তবে বিশেষত শহরাঞ্চলে তা যে সহজ নয়, তিনি মানছেন। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পুনর্বাসন না দিয়ে সরে যেতে বলা যাবে না। পুনর্বাসনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলব।’’

আরও পড়ুন
Advertisement