অস্থায়ী পুরকর্মীদের বিক্ষোভ। হুগলি-চুঁচুড়া পুরভবনের গেটে। বৃহস্পতিবার সকালে। নিজস্ব চিত্র।
বকেয়া মজুরির দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মীদের আন্দোলন বৃহস্পতিবার ১৯ দিনে পড়েছে। এত দিনে তাঁকে এক বারও দেখা যায়নি। সংবাদমাধ্যমকে বারবার জানিয়েছেন, পুরসভার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। দলও তাঁকে হস্তক্ষেপ করতে বলেনি। বৃহস্পতিবার অবশ্য জেলাশাসকের দফথরে এ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার প্রত্যসের সুরে বলেন, ‘‘শুক্রবার পুরসভার সমস্যা মিটে যাবে। সকলেই কাজে যোগ দেবেন।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, পুরসভার সমস্যা মেটাতে অবশেষে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের পুর দফতর। এ দিন জেলাশাসকের দফতরে জরুরি বৈঠক করতে হাজির হন রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থার (সুডা) অধিকর্তা জলি চৌধুরী। ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, মহকুমাশাসক (সদর) স্মিতা সান্যাল শুক্ল, বিধায়ক এবং পুরপ্রধান অমিত রায়। বৈঠক নিয়ে প্রশাসনের কর্তারা কিছু বলতে না চাইলেও অসিত বলেন, ‘‘বিগত ২ বছর ৮ মাস আমি পুরসভার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিনি। কিন্তু আজ কলকাতা থেকে আমাকে পুর সমস্যা মেটাতে বলা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। সমস্যা মেটা এখন সময়ের অপেক্ষা।’’ তাঁর দাবি, আজ, শুক্রবার পুরসভার গেটে গিয়ে তিনি বিশেষ কিছু ঘোষণা করবেন। তারপরেই শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবেন বলে তিনি নিশ্চিত।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দু'মাসের বকেয়া মিটলে কাজে যোগ দিতে আমাদের সমস্যা নেই। তবে, মোট ছ'দফা দাবিও বিবেচনায় রাখতে হবে। না হলে পরে আবারও শ্রমিক-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হবে।’’
এ দিনও পুরভবনের গেটে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। গেটের সামনে তাঁরা বসে পড়েন। কোনও অস্থায়ী কর্মীরাই ভিতরে ঢুকতে পারেননি। বহু মানুষ পরিষেবা নিতে এসে ফিরে যান। একটানা আন্দোলনের জেরে শহর জুড়ে জমেছে আবর্জনার স্তূপ। বড়দিনের আগে যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর হিমাংশু চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রশাসন নির্দেশ দিলে তিন দিনের মধ্যে শহর পরিষ্কার করে দেওয়া যাবে।