100 Days Work

সুপারভাইজ়ারের অ্যাকাউন্টে ৫০ শ্রমিকের বকেয়া, বিতর্ক

১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
দীপঙ্কর দে
তারকেশ্বর শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪ ০৯:১০
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

কাজ করেছিলে একজন। আর তার প্রাপ্য চলে গেল অন্য জনের কাছে! এমনই অভিযোগ উঠেছে তারকেশ্বরের বালিগোড়ি ১ পঞ্চায়েতে। সেখানকার একশো দিনের প্রায় ৫০ জন শ্রমিকের অভিযোগ, তাঁদের বকেয়া টাকা (যা রাজ্য সরকার দিয়েছে) ওই প্রকল্পের সুপারভাইজ়ারের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ওই সুপারভাইজারও।

Advertisement

১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেটানো হয়নি শ্রমিকদের বকেয়াও। তবে রাজ্য সরকারের তরফে লোকসভা ভোটের আগে সেই বকেয়া মেটানোর ব্যবস্থা করা হয়।

সেই অনুযায়ী, বালিগোড়ি-১ পঞ্চায়েতের অধিকাংশ একশো দিনের শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে তাঁদের বকেয়া চলে গিয়েছিল। বাদ পড়েছিলেন প্রায় ৫০ জন। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিকের ক্ষোভ, ‘‘সেখানে গিয়ে জানতে পারি, আমাদের প্রাপ্য এসেছে। আর সেটা লোকসভা ভোটের আগেই। অথচ সেই টাকা আমাদের কাজের সুপারভাইজ়ারের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। এটা হল কী করে?’’ অন্য এক শ্রমিকের কথায়, ‘‘এতদিনে বিষয়টা জানতে পারলাম। আর ওই সুপারভাইজ়ার টাকা ঢুকেছে দেখেও আমাদের কিছু জানালেন না কেন?’’

নবকুমার বেরা নামে ওই সুপারভাইজ়ারের সাফাই, ‘‘কী ভাবে টাকা ঢুকেছে, জানি না। তবে আমিও ওই প্রকল্পে কাজ করেছিলাম। ফলে আমি ভেবেছিলাম, ওই টাকা আমারই প্রাপ্য।’’

গোলমালের কথা মেনে নিয়েছেন পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান দীনবন্ধু মাটি। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যাঁদের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে এসেছে, তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এমন হয়েছে।’’

বিষয়টিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। তারকেশ্বরের বিজেপি নেতা গণেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের টাকা কেন দেয়নি, এটা তার উদাহরণ। একজন মানুষ পরিশ্রম করছেন আর তাঁর টাকা একজন নিয়ে নিল। এর চেয়ে বড় চুরি আর হয়?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement