Injured

জামিন পেয়ে ফের বাড়িতে হামলা, বেধড়ক মার যুবককে 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি জমি ঘিরে হাবিবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে তাঁর মা-বাবা ও ভাইদের। গত সপ্তাহে সেই গোলমালের সময়ে পরিবারের লোকজন একটি ক্লাবের সদস্যদের ডেকে আনে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৫
জনা দশেক দুষ্কৃতী ওই যুবকের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।

জনা দশেক দুষ্কৃতী ওই যুবকের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।

পারিবারিক বিবাদের সুযোগ নিয়ে এক যুবকের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করেছিল এলাকারই একটি ক্লাবের কয়েক জন সদস্য। সপ্তাহখানেক আগে ঘটনাটি ঘটেছিল হাওড়ার বাঁকড়ায়। সেই ঘটনায় আক্রান্তের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের বুধবার রাতে চড়াও হয় শেখ হাবিব নামে ওই যুবকের বাড়িতে। দরজা ভেঙে ঢুকে, হাবিবকে মাটিতে ফেলে রড আর উইকেট দিয়ে বেধড়ক পেটায় তারা। স্বামীকে বাঁচাতে এসে মার খান হাবিবের স্ত্রীও।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি জমি ঘিরে হাবিবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে তাঁর মা-বাবা ও ভাইদের। গত সপ্তাহে সেই গোলমালের সময়ে পরিবারের লোকজন একটি ক্লাবের সদস্যদের ডেকে আনে। তারা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ, ক্লাবের ওই সদস্যেরা হাবিব ও তাঁর স্ত্রী মনিজা বেগমকে এক প্রস্ত মারধর করে। থানায় অভিযোগ দায়ের হলে ক্লাবের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে জামিন-যোগ্য ধারা দেওয়ায় বুধবার সকলেই ছাড়া পেয়ে যায়। এর পরে ওই রাতেই ১১টা নাগাদ হাবিবের পরিবারের কয়েক জন সদস্য-সহ জনা দশেক দুষ্কৃতী ওই যুবকের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ছাড়া হয়নি হাবিবের স্ত্রী মনিজাকেও। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাবিবকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মনিজা বলেন, ‘‘প্রায় ১০-১৫ জন দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে রড ও উইকেট নিয়ে আক্রমণ করে। আমার স্বামীকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। সন্তান নিয়ে ভীষণ আতঙ্কে রয়েছি। ফের হামলার ভয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে এসে অন্য জায়গায় থাকছি।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। পরিবারটি যাতে ফের আক্রান্ত না হয়, সে দিকে আমরা নজর রাখছি।’’

Advertisement
আরও পড়ুন