TATA factory Singur

টাটা কারখানায় ৩৫ হাজার বেতনে কাজ পেয়েছিলাম

পুণের টাটা মোটরসে প্রশিক্ষণ নিয়ে কারখানার বৈদ্যুতিক বিভাগে কাজ করতাম মাসিক ৩৫ হাজার টাকা বেতনে। কিন্তু কারখানাই থাকল না। আমাদের কাজও গেল।

Advertisement
মণিমোহন বাঙাল
শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৪ ০৯:৩৫
সেই কারখানা।

সেই কারখানা। —ফাইল চিত্র।

টাটারা যখন গাড়ি কারখানা গড়তে এল, খুব খুশি হয়েছিলাম। প্রকল্প এলাকায় বিঘে আড়াই জমি ছিল আমাদের। এলাকার অর্থনৈতিক চেহারাই বদলে যেত কারখানাটা হলে। শিক্ষিক যুবক-যুবতীরা কাজ পেতেন। আরও অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হতে শুরু করেছিল। আমার বাবা বিফল বাঙাল ওই প্রকল্পের জন্য জমি দিতে দু’বার ভাবেনি। জমি বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছিল বাবা। আমি কাজ পেয়েছিলাম কারখানায়।

Advertisement

পুণের টাটা মোটরসে প্রশিক্ষণ নিয়ে কারখানার বৈদ্যুতিক বিভাগে কাজ করতাম মাসিক ৩৫ হাজার টাকা বেতনে। কিন্তু কারখানাই থাকল না। আমাদের কাজও গেল। বছর চারেক আগে বাবা মারা গিয়েছেন। আমি বাবার মুদিখানা চালাই। মা, স্ত্রী, দুই ছেলেকে নিয়ে থাকি।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জমি ফেরত পেয়েছি। কিন্তু জমি চাষযোগ্য করে দেয়নি সরকার। ফলে, চাষ হয় না। দোকানের ভরসাতেই সংসার। কারখানা হলে সিঙ্গুরের আমূল পরিবর্তন হত। ৮০-৮৫% মানুষ জমি দিয়েছিলেন। কারখানা না হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। তৎকালীন বিরোধী দল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে হতে দেয়নি। আজ ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক সবাই চান, কারখানা হোক। তবে আমার মনে হয়, এ রাজ্যে আর শিল্প হবে না। এ ভাবেই চলতে হবে। কষ্টে ওই জমির দিকে তাকাই না।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য স্বপ্ন দেখেছিলেন, সিঙ্গুরে কারখানা হোক। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বুকে ব্যথা নিয়েই বুদ্ধবাবু চলে গেলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement