Man Beaten in Sankrail

স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ মেটাতে সালিশি সভা! সাঁকরাইলে স্বামীকে ‘মারধর, বাড়ি ভাঙচুর’, অভিযুক্ত তৃণমূল

স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ মেটাতে সালিশি সভা ডেকে স্বামীকে মারধর এবং ভাঙচুরের অভিযোগ হাওড়ার সাঁকরাইলে। অভিযুক্ত পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ১২:০৭
ভাঙচুর চালানো হয়েছে একটি গাড়িতে।

ভাঙচুর চালানো হয়েছে একটি গাড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।

ফের রাজ্যে সালিশি সভা ডেকে নীতিপুলিশি এবং মারধর! ফের অভিযুক্ত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ মেটাতে সালিশি সভা ডেকে স্বামীকে মারধর এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল হাওড়ার সাঁকরাইলে। অভিযুক্ত পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদ।

Advertisement

সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত কান্দুয়ার ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন সেপাই। মেয়ের বিয়ে নিয়ে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর মনোমালিন্য হয়। কিছু দিন আগে স্ত্রী রাগ করে মেয়েকে নিয়ে সাহাবুদ্দিনের বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। সমস্যা মেটাতে সোমবার সন্ধ্যায় সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে একটি সালিশি সভা ডাকা হয়। সাহাবুদ্দিনের অভিযোগ, সেই সময় উপপ্রধান খলিলের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক আসে। তাঁরা আলোচনার পর সাহাবুদ্দিনকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করেন।

তার পরেও নাকি সালিশি পর্ব চলতে থাকে। অভিযোগ, এর পর খলিল ফোন করে তাঁর দলবলকে ডেকে পাঠান। সেই সময় ঘটনাস্থলে দু’টি ম্যাটাডোর এবং ৫০টি বাইকে করে প্রায় ১৫০ জন সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে উপস্থিত হন। তাঁদের অধিকাংশের হাতে লাঠি, রড, ছুরি এবং ভোজালি ছিল বলে অভিযোগ। তাঁরা ওই বাড়ি চড়াও হয়ে হামলা চালান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আরিফ সেপাই। তিনি বলেন, “মীমাংসা করার নামে যে খলিল এবং তার দলবল এই রকম ঘটনা ঘটাবে, সেটা বোঝা যায়নি।” আরিফও ভয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। পালিয়ে যান সাহাবুদ্দিনও। এর পর হামলাকারীরা কিছুটা দূরে তাঁর ভাইপোর বাড়িতে পৌঁছয়। সাহাবুদ্দিন সেই বাড়িতে লুকিয়ে আছেন, এই সন্দেহে সেই বাড়িতেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে উপপ্রধানের দলবলের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, সেই বাড়ির আলমারি ভেঙে নগদ ৪০ হাজার টাকা, সোনার গয়না এবং দামি মোবাইল সেট-সহ যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হামলাকারীর বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে একাধিক বার বিভিন্ন ঘটনায় খলিলের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খলিল। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, সাঁকরাইলের সালিশি সভার ঘটনায় দু’জন গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন সারদুল মোল্লা এবং রেজাউল মোল্লা। উপপ্রধান খলিলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement