Dead Body Recovered

কিশোরী মেয়ের মৃত্যু, ঘরে দেহ আগলে মা

এলাকাবাসী জানান, ২০১৪ সালে অরিত্রীর বাবা প্রভাস ঘোষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পরে মেয়েকে নিয়ে একাই থাকতেন মা অপর্ণা ঘোষ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৩২
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

বাড়ি থেকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক কিশোরীর পচন ধরা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীতলার কলাছড়ার খানাবাটীতে। মৃতার নাম অরিত্রী ঘোষ (১৪)। প্রতিবেশী ও পুলিশের ধারণা, কয়েক দিন আগেই মেয়েটি মারা যায়। দেহ আগলে রেখেছিলেন মা। তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ।

Advertisement

এলাকাবাসী জানান, ২০১৪ সালে অরিত্রীর বাবা প্রভাস ঘোষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পরে মেয়েকে নিয়ে একাই থাকতেন মা অপর্ণা ঘোষ। বাইরের কারও সঙ্গে তিনি বিশেষ কথাবার্তা বলেন না। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান পড়শিরা। এক প্রতিবেশী গেলে অপর্ণা তাঁকে বের করে দেন। খবর পেয়ে অরিত্রীর কাকা বিশ্বজিৎ ঘোষ গেলে তাঁকেও বাড়িতে ঢুকতে দেননি। চণ্ডীতলা থানায় বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ আসে। পুলিশকর্মীদেরও প্রথমে ঘরে ঢুকতে বাধা দেন ওই মহিলা। শেষে চেষ্টাচরিত্র করে ঘরের তালা খুলে ভিতরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। উদ্ধার হয় কিশোরীর দেহ। স্থানীয় শ্মশানে দেহ সৎকার করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত দাস বলেন, ‘‘আমাদের মনে হয়েছে, চার-পাঁচ দিন আগে মেয়েটি মারা গিয়েছে। দেহে পচন ধরে গিয়েছিল। ওর মা মানসিক ভারসাম্যহীন।’’ মেয়ের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে অসংলগ্ন কথা বলেন অপর্ণা।

দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হল না কেন? এ ব্যাপারে হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই কিশোরী বাড়িতে মারা গিয়েছে। চিকিৎসক মৃত্যু শংসাপত্র দিয়েছেন। তাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার উল্লেখ রয়েছে। তাই ময়না তদন্তে পাঠানো হয়নি।’’

বিশ্বজিৎ জানান, ভাইঝি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল, হাঁটাচলাও ঠিক মতো করতে পারত না। তাঁর কথায়, ‘‘পাড়া-পড়শি বা আমাদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলত না বৌদি। বাড়ির মূল দরজায় সব সময় তালা দিয়ে রাখত। আমরাই দেখভাল করার চেষ্টা করতাম।’’ তিনি জানান, মাস চারেক আগে অরিত্রীর শরীর খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছিলেন অপর্ণা। তাঁকে বুঝিয়ে অরিত্রীকে স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। ভাইঝির জন্য বাড়িতে আলাদা শয্যাও কিনে দিয়েছিলেন তাঁরা।

Advertisement
আরও পড়ুন