Cyber crime

‘সিবিআইয়ের’ ই-মেল, পুলিশের দ্বারস্থ ব্যবসায়ী 

ব্যবসায়ীর আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রতারণা-চক্রের শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে সর্বত্র। কখনও সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে, কখনও ই-মেল পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতাচ্ছে প্রতারকেরা।

Advertisement
রাজীব চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:১০
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

অপরাধের মামলার তদন্তে তলব করেছে ‘সিবিআই’!

Advertisement

ই-মেলের ইনবক্স খুলে এই বার্তা দেখেই পিলে চমকে উঠেছিল হুগলির ডানকুনির এক ব্যবসায়ীর। কেন এমন তলব! আইনজীবীর পরামর্শে তিনি ডানকুনি থানায় যান। অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কেন্দ্রীয় সংস্থার নামে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছে সাইবার অপরাধীরা।

গত ২৪ জানুয়ারি ডানকুনির নর্থ সুভাষ পল্লির বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ী ডানকুনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, গত ২০ জানুয়ারি তাঁর কাছে ই-মেলটি এসেছিল। তাতে সিবিআই, দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং দিল্লি পুলিশের ‘এসিপি’ পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নাম দেওয়া ছিল। ওই ই-মেলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া (অ্যাটাচমেন্টে) নথিতে জাতীয় স্তরের তদন্তকারী নানা সংস্থার লোগো রয়েছে। সেগুলি ভুয়ো বলে ধারণা ওই ব্যবসায়ীর। তিনি কিছু সময়
চেয়ে পাল্টা ই-মেল করেন। কিন্তু তার পরে উল্টো দিক থেকে আর
কোনও মেল আসেনি। তার পরেই তিনি যোগাযোগ করেন তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে।

ওই ব্যবসায়ীর আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রতারণা-চক্রের শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে সর্বত্র। কখনও সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে, কখনও ই-মেল পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতাচ্ছে প্রতারকেরা। ভয় পেয়ে কেউ তাদের ফাঁদে পা দিলেই সর্বনাশ। এ সব ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা ভীষণ প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘‘আগে একই কায়দায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর নামে নোটিস পাঠিয়ে এক প্রৌঢ়ের অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল সাইবার অপরাধীরা। ডানকুনির ওই ব্যবসায়ীকেও ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে সিবিআই, র এবং দিল্লি পুলিশের কর্তার নামে ই-মেল পাঠানো হয়েছে।’’

পেশায় আইনজীবী হলেও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসাবে রাজ্যে নাম রয়েছে বিভাসের। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের নানা ধারায় রুজু হওয়া অনেক জটিল মামলায় বিশেষ আইনজীবী হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। বিভাসের পরামর্শ, ‘‘এ ধরনের ই-মেল এলে আগ বাড়িয়ে উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
ফোন নম্বর দেওয়া থাকলেও যোগাযোগ না করাই ভাল। এমন ই-মেল এলে পুলিশ বা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রতারকেরা এমন ই-মেল পাঠিয়ে মামলার ভয় দেখায়। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই মামলা থেকে রেহাই পেতে টাকা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’’ ডানকুনি থানা সূত্রে খবর, যে ইন্টারনেট প্রোটোকল (আইপি) অ্যাড্রেস থেকে ওই ব্যবসায়ীকে ই-মেল পাঠানো হয়েছিল, সেটি সম্পর্কে জানতে সংশ্লিষ্ট জায়গায় যোগাযোগ করা হয়েছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম সেল বিষয়টি দেখছে।

আরও পড়ুন
Advertisement