কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা এবং গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের প্রতিবাদে আগামী দু’দিন ধর্নায় বসবেন মমতা। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
এমনিতে এখন পলাশ ফুলের সময়, তবে বুধবার সকাল থেকে রেড রোডে পলাশের লালকে ছাপিয়ে চোখে পড়ছে নীল-সাদা ফ্লেক্স। রাজভবনের আওতা পেরিয়ে ঢুকতেই বাঁশের ব্যারিকেডে ঘিরে ফেলা হয়েছে দীর্ঘ রাস্তা। তার দু’পাশে এক পা অন্তর তৃণমূলের পতাকা। এখানেই বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ধর্নায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয়। কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা এবং গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের প্রতিবাদে আগামী দু’দিন মমতা ধর্নায় বসবেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী হিসাবে। তার আগে রূপই বদলে গিয়েছে কলকাতার অন্যতম সংযোগকারী রাস্তা রেড রোডের।
রাস্তার এক পাশে মঞ্চ বাঁধা হয়েছে তৃণমূল নেত্রীর জন্য। রেড রোডের মুখ থেকে প্রায় ১০০ মিটারের দূরত্বে সেই মঞ্চেও নীল-সাদা শামিয়ানা। নীচে কাঠের পাটাতনের উপর বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তোশক। মঞ্চে রয়েছে একটি কাঠের পোডিয়ামও। দরকার হলে সেখান থেকেই কথা বলবেন তৃণমূল নেত্রী। তবে তিনি ছাড়াও ধর্নায় অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের আসার কথা। তাঁদের জন্য মঞ্চের দু’পাশে তৈরি করা হয়েছে বড় ছাউনি। তলায় পেতে দেওয়া হয়েছে সার সার চেয়ার। এমনকি, ধর্নায় বসে যাতে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি কাজে কোনও বাধা না পড়ে তার জন্য মঞ্চের ঠিক পিছনেই একটি অস্থায়ী অফিসও তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজন মতো সরকারি কাজ সেরে নেবেন মমতা। আর এই গোটা এলাকাতেই কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নার জন্য কোনও ভাবেই যান চলাচল ব্যাহত হবে না বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বেষ্টনী থাকলেও মঞ্চের সামনে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই যান চলাচল করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে অবশ্য রেড রোডে যান চলাচলের কোনও সমস্যা হয়নি বলেই খবর। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকশো মিটারের দূরত্বে শহিদ মিনারের পাদদেশে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূলের ছাত্র যুবদের সেই সমাবেশের এবং মুখ্যমন্ত্রী ধর্নার জন্য মধ্য কলকাতার এই চত্বরে যানজটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে আসার সময়ে কিছুটা যান চলাচলের সমস্যা দেখা দিলেও দিনের বাকি সময়ে যান চলাচল স্বাভাবিকই থাকবে।