West Bengal Weather Update

সোম, মঙ্গল দক্ষিণের সব জেলায় ভ্যাপসা গরম, বুধ থেকে তাপপ্রবাহ আট জেলায়: আবহাওয়া দফতর

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ১৫ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই অস্বস্তি থাকতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪২
image of summer

শুক্রবার পর্যন্ত ভ্যাপসা গরম গোটা দক্ষিণবঙ্গে। — ফাইল চিত্র।

বৈশাখের প্রথম দিন থেকেই হাঁসফাঁস গরম গোটা দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টিতে ইতি পড়তে উধাও ঠান্ডার আমেজ। এর মধ্যেই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস কিছুটা হলেও উদ্বেগ বৃদ্ধি করল। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোম থেকে শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বৃদ্ধি পেতে পারে তাপমাত্রা। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিও থাকবে খুব বেশি।

Advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ১৫ এপ্রিল, সোমবার থেকে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত এই অস্বস্তি থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাতাসে আর্দ্রতা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ থাকতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় বাতাসে এই আর্দ্রতা থাকতে পারে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। দিনের বেশির ভাগ সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা থাকতে পারে ৪০ শতাংশের বেশি।

সোম এবং মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ভ্যাপসা গরম থাকবে। সঙ্গে থাকবে অস্বস্তি। বুধ এবং বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের কিছু অংশে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ওই সব জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ওই দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও থাকবে অস্বস্তি। শুক্রবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দুই বর্ধমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেখানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সব জেলার বাসিন্দাদের, বিশেষত শিশু, বৃদ্ধ এবং অন্য রোগ রয়েছে এমন লোকজনকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। জানিয়েছে, সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রোদে কম বেরোনোই বাঞ্ছনীয়। প্রচুর পরিমাণে জল-সহ অন্যান্য পানীয় খেতে হবে। হালকা সুতির জামা পরা প্রয়োজন। শরীর খারাপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছে হাওয়া অফিস।

আরও পড়ুন
Advertisement