RG Kar Rape and Murder Case

ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পেল আরজি করে নির্যাতিতার পরিবার, বাড়ি গিয়ে নথি দিয়ে এলেন স্বাস্থ্যসচিব নিগম

আরজি করে নির্যাতিতা তরুণীর ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পেল তাঁর পরিবার। বুধবার তাঁদের বাড়িতে গিয়ে মৃত্যুর নথি দিয়ে এসেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। এত দিন ওই নথি তাঁদের কাছে ছিল না বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ২০:০৬
Health Secretary Narayan Swaroop Nigam went to RG Kar victim’s house and gave them death certificate

রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। বুধবার আরজি করে নির্যাতিতার বাড়ির সামনে। —নিজস্ব চিত্র।

আরজি করে নির্যাতিতা তরুণীর ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পেল তাঁর পরিবার। বুধবার তাঁদের বাড়িতে গিয়ে মৃত্যুর নথি দিয়ে এসেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। এত দিন ওই নথি তাঁদের কাছে ছিল না বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। একাধিক বার এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অবশেষে ডেথ সার্টিফিকেট পেলেন তাঁরা।

Advertisement

ডেথ সার্টিফিকেট পেয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসচিব আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। আমার মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেটের মূল কপিটা দিয়ে গেলেন। বললেন, পরবর্তী সময়ে অন্য কপি দরকার হলে এমএসভিপি তা দিয়ে দেবেন। আমাদের কাছে লিঙ্ক এসে গিয়েছে। প্রয়োজনে আমরা প্রিন্ট আউট বার করে নিতে পারব।’’

সেপ্টেম্বর মাস থেকে ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য ঘোরাঘুরি করছিলেন, জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর কথায়, ‘‘সেপ্টেম্বর মাস থেকে আমরা চেষ্টা করছিলাম। ৩১ জানুয়ারি লিখিত দিই। তার পর এক বার স্বাস্থ্য ভবন, এক বার বোরো অফিস, এক বার আরজি কর— এই চলছিল। অনেক ঘোরাঘুরি করেছি। হঠাৎ করে স্বাস্থ্য সচিব নিজেই চলে এসেছেন দেখলাম।’’

নির্যাতিতার বাবা আরও বলেন, ‘‘বাবা হয়ে মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য ঘোরা কত কষ্টকর, যে ঘোরে সে-ই শুধু বোঝে। এটা আমরা পেয়েছি, তার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। কেন এটা পেতে আমাদের এত দেরি হল, তার কোনও সঠিক জবাব পাইনি।’’

নির্যাতিতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘‘ওঁদের ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা ছিল। সেটা দিয়ে এলাম। আর কোনও কথা হয়নি।’’ ঘটনাচক্রে বুধবারই বিধানসভার বক্তৃতায় আরজি করের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘‘আমরা চাই, আরজি করের মেয়েটি বিচার পাক।’’

গত ৯ অগস্ট আরজি করে কর্তব্যরত অবস্থায় মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘ দিন অনশন এবং কর্মবিরতি চালিয়ে গিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত। তবে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। তাঁদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement
আরও পড়ুন